ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিন লাশ উদ্ধার

দুই গৃহবধূসহ চার খুন

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১০ জুলাই ২০১৭

দুই গৃহবধূসহ চার খুন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বগুড়ায় খালাত ভাইয়ের গুলিতে নিহত হয়েছে এক যুবক। নোয়াখালী ও কুড়িগ্রামে দুই গৃহবধূকে খুন করেছে স্বামী। পাবনায় কুপিয়ে খুন করা হয়েছে চা দোকানিকে। এ ছাড়া দিনাজপুর, বরিশাল ও সাভারে তিন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : বগুড়া ॥ রবিবার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে পিস্তলের গুলিতে নিজের ঘরে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) খুন হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার শেখেরমাড়িয়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে। খালাত ভাই রিপন তার মাথায় গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পুলিশ জানায়, শেখেরমাড়িয়া গ্রামের সাদ্দামের বাড়িতে সকালে খালাত ভাই পাশের সিংড়া উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের রিপন বেড়াতে আসে। ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। সাদ্দাম ও রিপন একই ঘরে ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের ভেতর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন প্রবেশ করে দেখে সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গুলির পরেই রিপন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকা- ঘটেছে কিনা সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত কিছু জানতে পারেনি। নোয়াখালী ॥ বেগমগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামে যৌতুক না পেয়ে স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকজন ফারহানা আক্তার টুম্পা (২১) নামে গৃহবধূকে হত্যা করেছে। শনিবার গভীর রাতে শ^শুরবাড়ি থেকে ফারহানার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর ফারজানার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। নিহত ফারহানার চাচা কুতুবপুর গ্রামের হোসেন জানান, ২০১৫ সালে দুর্গাপুর গ্রামের শরিয়ত উল্লার ছেলে আজাদের সঙ্গে তার ভাতিজির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আজাদকে যৌতুক দেয়া হয়। এর পর আরও যৌতুকের জন্য প্রায়ই ফারজানাকে মারধর করত। শনিবার বিকেলে প্রতিবেশী এক নারী ফারহানার মৃত্যুর বিষয়টি তাদের জানান। এরপর তারা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে ফারহানার লাশ পড়ে আছে। বাড়িতে স্বামী, শ^শুর-শাশুড়ি কেউ নেই। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন চাচা হোসেন। কুড়িগ্রাম ॥ জুয়া খেলায় বাধা দেয়ায় পাষ- স্বামী স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাহেবের আলগা ইউনিয়নের জাহাজের আলগা গ্রামে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা উলিপুর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ গৃহবধূর স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেছে। তবে এখনও গৃহবধূ কিংবা লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জানা যায়, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আনজামা বেগমের (২৮) সঙ্গে পাশর্^বর্তী জাহাজের আলগা গ্রামে সাদ্দাম হোসেনের ৯ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সাদ্দাম হোসেনের জুয়া খেলা ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার প্রতিবাদ করলেই গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতন নেমে আসে। দুদিন আগে সাদ্দাম হোসেন মহির মোল্লা টংঘরে জুয়া খেলতে গেলে দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ সেখানে উপস্থিত হয়ে স্বামীকে জুয়া খেলা থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এতে স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। রাতে বাড়িতে ফিরে স্ত্রী আনজামা বেগমকে মারপিট করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে হত্যা করে লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেয়। পাবনা ॥ সদর উপজেলার হেমায়েতপুরের ইসলামপুর গ্রামে চা দোকানি এনামুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১১ টার দিকে এ হত্যাকা- ঘটে। নিহত এনামুল হোসেন (৩৭) হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আকাতুল্লাহ প্রামাণিকের ছেলে। পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামের এক ছেলে ইসলামপুর গ্রামে এক মেয়ের বাড়িতে আসে। স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনা জানাজানির পর ছেলেটি পালিয়ে যায়। এ নিয়ে সালিশ বৈঠকের কথা নিয়ে এনামুলের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে এনামুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে পাবন জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দিনাজপুর ॥ বিরামপুর উপজেলার আশুরার বিলের নালা থেকে থানা পুলিশ রবিবার সকালে লাভলী খাতুনের (২০) লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার পাঠানগঞ্জ গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে লাভলী খাতুন মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শুক্রবার সকালে পরিবারের সঙ্গে লাভলী রামগড় গ্রামে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় কাউকে না বলে লাভলী নিরুদ্দেশ হয়। বরিশাল ॥ মুলাদী উপজেলা সদর ইউনিয়নের চরলক্ষীপুর গ্রামে হাওয়ানুর বেগমের (৩৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল সাড়ে নয়টায় নিজ বাড়ির পুকুরপারের আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হাওয়ানুর বেগম মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুর রশিদ খানের স্ত্রী। পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। সাভার ॥ সবুজ (১৪) নামের কিশোরের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে সাভার মডেল থানাধীন কাউন্দিয়া এলাকার রতন মোল্ল্যার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন সকালে কাউন্দিয়া এলাকার ভাড়া বাড়ির কক্ষে জানালার সঙ্গে সবুজ মিয়ার ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত সবুজের সঙ্গে মনির বসবাস করত। এ ঘটনার পর থেকে মনির পলাতক। নিহত সবুজ ওই এলাকায় সবজি বিক্রি করত।
×