ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ কর্মদিবসে সংবর্ধনা

প্রথম নারী বিচারক হওয়ার পর অনেকে নাক সিটকেছিলেন ॥ নাজমুন আরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৭ জুলাই ২০১৭

প্রথম নারী বিচারক হওয়ার পর অনেকে নাক সিটকেছিলেন ॥ নাজমুন আরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা বলেছেন, দেশের প্রথম নারী বিচারক হিসেবে যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হতাম, তাহলে আজ দেশে চার শ’ নারী বিচারক তৈরি হতো না। তিনি বলেন, আমি কখনও জেনেশুনে ও বুঝে ভুল বিচার করিনি। সব সময় সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে বিচারকাজ সম্পন্ন করেছি। আমার দেয়া রায়ে অনেকে সংক্ষুব্ধ হয়ে আপীল বিভাগে গেছেন, আপীল বিভাগ ওই রায়ের ওপর পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দেয়া সংবর্ধনার জবাবে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ছিল তার শেষ কর্মদিবস। শুক্রবার ৭ জুলাই ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী অবসরে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবারই তার শেষ কর্মদিবস। শেষ কর্মদিবসেও নাজমুন আরা সুলতানা বিচারকাজ করেছেন নিয়মিতভাবেই। সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের পক্ষ থেকে জাজেস লাউঞ্জে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এছাড়া এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপীল বেঞ্চের এ নারী বিচারপতিকে বিদায় সংবর্ধনা দেয় এ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে আপীল বিভাগের সাত বিচারপতি ছাড়াও সুপ্রীমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের পাঁচ শতাধিক সিনিয়র ও জুনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। এ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের পক্ষ থেকে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরপর সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সভাপতি জয়নুল আবেদীন এ নারী বিচারপতির বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
×