ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেটার শহীদের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ২৯ জুন ২০১৭

ক্রিকেটার শহীদের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার,মুন্সীগঞ্জ ॥ ক্রিকেটার মোহাম্মদ শহীদের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জের তল্লার বাসিন্দা শহীদের স্ত্রী ফারজানা আক্তারের বাবারবাড়ি মুন্সীগঞ্জের উপজেলার দালালপাড়া। এই দ¤পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। ফারজানার চাচাত ভাই ডালু কাজী বলেন, আমার বোনকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে নির্যাতন করত শহীদ। গত বছর তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। এরপর থেকে ওই সন্তানকে অস্বীকার করে বোনকে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় শহীদ। গত ২৬ রোজার দিন ফারজানাকে মারধর করে শহীদ বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দিতে চায়। ভয় পেয়ে ফারজানা বাবারবাড়ি চলে আসে। ফারজনার বাবারবাড়ির কাছের হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, ক্রিকেটার শহীদের স্ত্রী ও শ্বশুর এসেছিলেন পরামর্শের জন্য। আমরা বলেছি, ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় আপনারা সেখানে মামলা করুন। শহীদের স্ত্রী ফারজানা জানান, বিয়ের পর থেকে শহীদ এমন ছিল না। তখন শহীদের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল ছিল না। কিন্তু বড় ক্রিকেটার হবার পর সে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে আমার সংসারে অশান্তি শুরু হয়। আমাকে মারধর করে। কথায় কথায় ‘ফকিরের মেয়ে’ বলে গালি দেয়। এরপর আমি যখন দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করি তখন সে আমাকে বাচ্চা নষ্ট করতে বলে। আমি রাজি হইনি। এরপর আমার ওপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। পেটের বাচ্চা নষ্ট না করায় আমার ডেলিভারির খরচও দেয়নি। আমার শাশুড়ি আমার কাছ থেকে আমার বাবার দেয়া গয়না নিয়ে যায়। আমাকে বলে সেগুলো বন্ধক রেখে হাসপাতালের বিল দেয়া হয়েছে। শুনেছি ঢাকায় কোন বড়লোকের মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়েছে। ওই মেয়েকে বিয়ে করতে আমরা বাধা মনে করে আমার ওপর অত্যাচার আরও বাড়িয়ে দেয়। অনেক অনুরোধ করে বলেছি, আমি বাসার কাজের লোকের মতো থাকব। তাও আমার সন্তানরা শহীদের পরিচয়ে বড় হোক। এক পর্যাায়ে শহীদ বলেছে যদি আমি চলে না যাই তাহলে ছাদ থেকে ফেলে আমাকে মেরে ফেলবে। ভয়ে আমি বাবারবাড়ি চলে আসি।
×