ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোমির শুনানি সামনে রেখে ট্রাম্পের দিনটি যেভাবে কাটল

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৯ জুন ২০১৭

কোমির শুনানি সামনে রেখে ট্রাম্পের দিনটি যেভাবে কাটল

মার্কিন সিনেট গোয়েন্দা কমিটিতে বৃহস্পতিবার সাবেক এফবিআইপ্রধান জেমস কোমির বহু প্রতীক্ষিত সাক্ষ্যদানের সরাসরি সম্প্রচার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। দ্য হিল ও সিডনি মার্কিন হেরাল্ড। আগ্রহী সংবাদকর্মীরা হোয়াইট হাউসে খোঁজখবর নিয়ে তার সেদিনকার কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করেন। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট সম্পূর্ণ কর্মমুক্ত পরিবেশে সময় কাটাবেন যাতে তিনি কোমির পুরো সাক্ষ্যদান পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র ওয়াশিংটন পোস্টের রবার্ট কস্টাকে জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট বার্তায় কোমির বক্তব্যের তাৎক্ষণিক জবাব দিতে পারেন। তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তাই তিনি নিজের লড়াই নিজেই চালিয়ে যাবেনÑ একজন যোদ্ধা, আইনজীবী ও মুখপাত্র হিসেবে। তবে, কোমির সাক্ষ্য প্রদানকালে তিনি যাতে টুইটে কোন জবাব না দেনÑ সে জন্য রিপাবলিকান সদস্যরা ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে ট্রাম্প ১২টা থেকে একটা পয়ত্রিশ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের ওমনি শোরহ্যাম হোটেলে ফেইথ এ্যান্ড ফ্রিডম কোয়ালিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন। এই সংস্থার প্রেসিডেন্ট রালফ রিড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত। এরপর বেলা একটা পয়ত্রিশ থেকে তিনটা ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস ফিরে আসার কথা। যদিও এটি এখনও পরিষ্কার নয় যে, সে সময় পর্যন্ত ক্যাপিটল হিলে জেমস কোমির সাক্ষ্যদান পর্ব চলমান থাকবে কি না। এবং বেলা তিনটা ত্রিশে ট্রাম্প বিভিন্ন রাজ্যের গবর্নর ও মেয়রদের সমন্বয়ে আয়োজিত ‘অবকাঠামো সপ্তাহ’ উদ্বোধন করবেন। ট্রাম্পের এই দৈনন্দিন কর্মতালিকা দেখে যে কারও মনে হবে সে, ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে গৃহীত জেমস কোমির সাক্ষ্যদানে মোটেই বিচলিত নয়। কিন্তু ভেতরের কথা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে এ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের তুমুল বাগ্বিত-া হয় এবং একপর্যায়ে সেশনস তার পদত্যাগপত্র দাখিল করতে যান। এছাড়াও কোমি যাতে সিনেট কমিটিতে সাক্ষ্যদান করতে না পারেন এ জন্য কেউ কেউ ট্রাম্পকে তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করার জন্য বলেছিলেনÑ কিন্তু তার কয়েকজন উপদেষ্টা নিষেধ করায় তিনি তা থেকে বিরত হন। আসলে সিনেট কমিটিতে সাক্ষ্যদানকালে জেমস কোমি ট্রাম্পের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রুশ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলেও সরাসরি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোন তথ্য প্রমাণ করতে পারবেন না। তিনি প্রমাণ করতে পারবেন না যে, ২০১৩ সালে মস্কো সফরকালে ট্রাম্প সেখানের যৌন কর্মীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বরং তিনি যে কয়েকটি ব্যাপারে সিনেটে লিখিতভাবে জানিয়েছেন সে ব্যাপারেই বৃহস্পতিবার মৌখিক জেরার সম্মুখীন হবেন। জেমস কোমির লিখিত অভিযোগের মধ্যে ছিল ১, ট্রাম্প তার কাছে নিরঙ্কুশ আনুগত্য দাবি করেছেন ২, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ক্লিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করতে ট্রাম্প চাপ দেন ৩, নির্বাচনে রুশ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত বন্ধ করতে রাজি না হওয়ায় ট্রাম্প কোমিকে বরখাস্ত করেন এবং সবশেষে ট্রাম্প জাতীয় প্রচারমাধ্যমে নিজেই স্বীকার করেন যে, রুশ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত বন্ধ না করায় তিনি কোমিকে বরখাস্ত করেছেন।
×