ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঞ্চিতদের স্বাস্থ্যসেবায় কক্সবাজারের ১৭৪ কমিউনিটি ক্লিনিক

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৯ মে ২০১৭

বঞ্চিতদের স্বাস্থ্যসেবায় কক্সবাজারের ১৭৪ কমিউনিটি ক্লিনিক

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার থেকে ॥ পল্লী এলাকার জনগণকে বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে একটি কেন্দ্র থেকে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৭ বছর পূর্বে দেশের প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পাটগাতির গিমাডাঙ্গা গ্রামে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। দেশে আরও এক হাজার ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ফসল কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের সাফল্য আজ সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে এক গর্বিত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তৃণমূল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে কক্সবাজারের নিভৃত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তোলা ১৭৪ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সেবার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রসূতি মায়ের নিরাপদ প্রসবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। দেশের জনগণকে একটি নির্দিষ্ট মানসম্মত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে সরকার গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্যাকেজের’ মাধ্যমে সমন্বিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম-ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর জনগণ পাচ্ছে হাতের নাগালে স্বাস্থ্য সেবা। দেশের পল্লী এলাকার জনগণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের সুবিধার্থে ও প্রাথমিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তথা কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। দেশের শহর এলাকায় সরকারী-বেসরকারী পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মিত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে সরকার পল্লী এলাকায় কম বেশি ৬০০০ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০০১ সালের মধ্যে ১০ হাজার ৭২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ এবং ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এছাড়াও দেশে আরও নতুন এক হাজার ২৯ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে। রামুতে ২৩ কমিউনিটি ক্লিনিক ছাড়াও আরও চারটি চালুর পথে রয়েছে। পল্লী এলাকার জনগণকে বিশেষত দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে একটি কেন্দ্র থেকে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা।
×