ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী বোর্ডে সফল ১৪ প্রতিবন্ধী

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৫ মে ২০১৭

রাজশাহী বোর্ডে সফল ১৪ প্রতিবন্ধী

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বোর্ডে এবার দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৪ জন বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে। অপর তিনজনের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণার পর এ তথ্য জানিয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্র। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তরুণ কুমার সরকার জানান, নানা প্রতিকূলতায় শারিরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৬৮ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে দুইজন। এরা হলোÑ পাবনার দোগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের আনারুল ইসলাম ও আবদুস সবুর। এছাড়া একই স্কুলের নাদিম হোসেন পেয়েছে ৪.৬৪ গ্রেড। উত্তীর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অন্যরা হলোÑ জয়পুরহাটের খঞ্জনপুর মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুমোরানী টপ্প, সুফলা মিনাজি, রাজশাহীর পুঠিয়া পঙ্গু শিশু নিকেতনের আরিফুল ইসলাম, বগুড়ার চাচাইতারা মাদলাযুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শাহানাজ খাতুন, পাবনার দোগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ের কাওসার হোসেন, হারুনার রশিদ ও আবদুল মতিন তুষার। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের এসবি রেলওয়ে কলোনি স্কুল এ্যান্ড কলেজের মাহমুদুল হাসান শাওন, ভোলানাথ সাহা ও মাহবুব জামানের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধী চারজন অংশ নিয়ে সবাই বিভিন্ন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে। এরা হলোÑ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার হামিদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অনামিকা খাতুন, একই জেলার কয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শারমিন ইফতেয়ারা, রাজশাহীর ইফতেখার হাবিব ও মাহিন আলম। বিউটি পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেয়েছে নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ৪ মে ॥ ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর গ্রামের অদম্য মেধাবী বিউটি আকতার পা দিয়ে লিখে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ- ৫ পেয়েছে। জন্ম থেকেই দুই হাত নেই। উপজেলার আকলাশ শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল বিউটি। বৃহস্পতিবার যার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রতিটি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। শুধু তাই নয় সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও লাভ করেছিল। তার এ সাফল্য এলাকাবাসীকে অবাক করেছে। বিউটি আকতার উপজেলার শিবপুর গ্রামের হতদরিদ্র বায়েজীদ হোসেনের দুই ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ কন্যা। লেখাপড়ার প্রতি অদম্য ইচ্ছা থেকে বিউটি আকতার তার কাক্সিক্ষত স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলেছে। পড়ালেখা শেষ করে বিউটি আকতার একজন আদর্শ শিক্ষক হতে চায়। এ বিষয়ে বিউটি আকতার আবেগতাড়িত হয়ে সাংবাদিকদের জানায়, আপনাদের দোয়ায় আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই। এ পথ চলায় আপনাদের সহযোগিতা আমি কামনা করছি। এ বিষয়ে বিউটি আকতারের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকামদ্দিন জানান, বিউটি আকতার পা দিয়ে লিখে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। লেখাপড়ার প্রতি তার প্রবল ইচ্ছাশক্তি লক্ষ করেছি। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকত এবং সে নিজেকে কখনও প্রতিবন্ধী মনে করত না।
×