ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক কর্মীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ॥ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

পোশাক কর্মীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ॥ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ গজারিয়া উপজেলার চরবাউশিয়া এলাকায় কাশেম আলী এ্যান্ড সন্স স্পিনিং মিলে রাতের ডিউটি চলাকালে সাইদুল ইসলাম তার সহকর্মী কিশোরী শ্রমিককে ধর্ষণ করেছে। ২২ এপ্রিল রাতে এ ঘটনা ঘটে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিত শ্রমিকের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামের জাহানারা বেগম ও তার কিশোরী কন্যা স্থানীয় কাশেম আলী মিলের শ্রমিক।একই উপজেলার পুরানবাউশিয়া গ্রামের আনোয়ার ফরাজীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৫) প্রেমের অভিনয় ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সহকর্মী কিশোরী শ্রমিককে গত কয়েক মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরী শ্রমিক অভিযোগ করে, কথা আছে বলে রাতের শিফটে ডিউটির সময় ২২ এপ্রিল আমাকে কারখানার পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত দ্বিতীয়তলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সাইদুল। ঘটনাটি ওই রাতে ডিউটিতে থাকা আমার মাসহ কয়েক শ্রমিক টের পেয়ে যান। ২৩ এপ্রিল সাইদুল তার মুরুব্বিদের নিয়ে বিয়ের আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি চলে যায়। পরে সে ফোনে জানায় আমাকে বিয়ে করতে পারবে না। কিশোরী দাবি করে, সাইদুলের সঙ্গে তার দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্কের সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোর করে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এতে সে বর্তমানে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। এদিকে মিল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে বলে জানায় কিশোরীর পরিবার। মিল কর্তৃপক্ষ তাদের হাজিরা খাতায় ২২ এপ্রিল থেকে পরবতী তিনদিন অনুপস্থিত দেখিয়েছে ধর্ষক সাইদুল ইসলামকে। অথচ ২২ এপ্রিল রাতে সাইদুল রাতের শিফটে ডিউটির সময় ধর্ষণ করে। মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ মোল্লা বাস্তবে সাইদুল উপস্থিত ও খাতায় অনুপস্থিত বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। পোড়া বাউশিয়া গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আলী জানান, আমরা চেয়েছিলাম দুজনের বিয়ের ব্যবস্থা করতে। ছেলে পক্ষ একাধিকবার কথা দিয়েও কথা না রাখায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
×