ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি

চিতলমারীতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

চিতলমারীতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিতলমারী উপজেলা ব্যাপী বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সঙ্কটে এখন সাধারণ মানুষ দিশেহারা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে শত শত লোক এখন নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত। দীর্ঘদিনের এ সমস্যার যথাযথ সমাধানের কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান, গ্রীষ্মের শুরুতে এলাকায় পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এলাকার বেশিরভাগ নদী-খাল ও পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় গোসল ও খাবারের পানি মিলছে না কোথাও। ফলে লোকজনকে আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলের পানি পান করতে হচ্ছে। এতে ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি। উপজেলা সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে শত শত পরিবারের খাওয়া-গোসল বন্ধ হতে বসেছে। এছাড়া সদরে অবস্থিত হাসিনা বেগম বালিকা বিদ্যালয়, এসএম মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শিশু কানন বিদ্যা নিকেতন, শেখ হেলাল উদ্দিন একাডেমিসহ ৬-৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শত শত শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় কোন পানির ব্যবস্থা না থাকায় তারা দূষিত আর্সেসিকযুক্ত পানি পান করছে। এ অবস্থায় এ পানি পান করে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে ভুগছে লোকজন। এছাড়া এখানকার বাসাবাড়ি ও হোটেল-রেস্টুরেন্টে সুপেয় পানির অভাবে বিভিন্ন পুকুরের গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেটি পান করার অযোগ্য। বিভিন্ন লোক ভ্যানযোগে পুকুর থেকে এসব পানি তুলে এনে বিক্রি করছে হোটেল- রেস্তরাঁয়। পানির এ প্রকট সমস্যায় যেন দিশেহারা লোকজন। চিতলমারী হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্র নাথ বাড়ৈ জানান, তার বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ শতাধিক ছাত্রী রয়েছে তাদের জন্য সুপেয় কোন পানির ব্যবস্থা না থাকায় চরম সঙ্ককটে রয়েছে তারা। এ অবস্থায় আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীদের। ফলে এ পানি পান করে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ-ব্যাধিতে ভুগছে অনেকে। উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সরফরাজ আলী জানান, বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি পাস হলে মধুমতি থেকে পানি এনে এলাকায় সাপ্লাই করা হবে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অরুণ কুমার ম-ল জানান, বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডাইরিয়া, আমাশয়, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
×