ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতাবিরোধীরাই মেধাবী শিক্ষার্থীদের জঙ্গীবাদে জড়াচ্ছে ॥ নাহিদ

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১০ এপ্রিল ২০১৭

স্বাধীনতাবিরোধীরাই মেধাবী  শিক্ষার্থীদের জঙ্গীবাদে  জড়াচ্ছে ॥ নাহিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতা বিরোধীরাই ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে জড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। রবিবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ২০তম সমাবর্তনে তিনি এ অভিযোগ এনে বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের কুমন্ত্রনায় প্ররোচিত হয়ে বেশকিছু তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে বিপথগামী হয়েছে। এই তরুণ মেধাবীরা যাতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাদানকারী জঙ্গীদের কবলে পড়ে জীবন ধ্বংস না করে সেদিকে শিক্ষক-অভিভাবকসহ সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সমাবর্তনে দুই হাজার ৬৪২ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে সনদ দেয়া হয়। তাদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থী পান চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও সাতজন পান ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমনিথি উইন্থার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক জি. ইউ আহসান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হেল্্থ ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক মার্শালের দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, যে সব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত শর্ত পূরনে ব্যর্থ হয়েছেন, মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলছেন, একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান করছেন তাদের বিরুদ্ধে নতুন ভর্তি বন্ধসহ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আমরা চাই না কোন বিশ্ববিদ্যালয়ই ব্যর্থ হোক। যারা একান্তই আইনের বিধিবিধান মানতে চান না তাদের সহযোগিতা দিয়েও টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের হাতে বিকল্প আর কোন পথ নেই। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি। তাই বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে। বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও তথ্য বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের মানসম্পদে পরিণত করতে হবে। মন্ত্রী দেশের বাস্তবতা ও জনগণের আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সব ধরনের ব্যয় একটি সীমা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবর্তন বক্তা রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমনিথি উইন্থার বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদেশে শিক্ষার আমূল পরিবর্তন এসেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে। সে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ বিশ্ববিদ্যালয় পার করেছে গৌরবের ২৫ বছর এবং সাফল্যের শীর্ষে এখনও এই নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের উদ্দেশে অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, দেশের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এনএসইউ’র অর্জন অসামান্য। শিক্ষা ক্ষেত্রে আপনার পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন কোন লাভের জন্য নয়, মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য। ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের জন্য বাংলাদেশে অনেক ব্যবসা আছে।
×