ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আটলান্টিকের দুই প্রান্তের নেতৃবৃন্দের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১০ এপ্রিল ২০১৭

আটলান্টিকের দুই প্রান্তের   নেতৃবৃন্দের মিলনমেলা

ফ্রান্সের ভিমি রিজ যুদ্ধের শততম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অংশ নিয়েছেন। এই যুদ্ধকে কানাডার জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। ট্রুডোর সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ, ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস এবং তার পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি স্মরণ করতে প্রায় ২০ হাজার কানাডীয় ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল ভ্রমণ করেন। জার্মানদের সঙ্গে তিনদিনের এ যুদ্ধে মোট ৩ হাজার ৬শ’ কানাডীয় নিহত এবং ৭ হাজার আহত হয়। গত মাসে জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, ব্যাটল অব ভিমি রিজ (ভিমি রিজ এর যুদ্ধ) ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং কানডার জন্য একটি মোড় পরিবর্তন। এতে কানাডীয়রা একাট্টা লড়াই করে। ভিমি রিজে আমরা এই বিরাট বিজয় অর্জন করেছি এবং যারা ওই সময় দেশমাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়েছেন সেটি প্রতিটি কানাডীয়দের জন্যই সশ্রদ্ধ অভিনন্দন। যুদ্ধ শুরু হয় ১৯১৭ সালের ৯ এপ্রিল ভোরে এবং এটি ছিল বৃহত্তর ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন সমরাভিযানের অংশ যেখানে অস্ট্রেলীয় সৈন্যরাও অংশ নেয়। এটি তখন পরিচিত ছিল ব্যাটল অব আরাস নামে। আরও দক্ষিণে একটি ফরাসী আক্রমণে সাহায্য করার লক্ষ্যে বহুমাত্রিক সামরিক কৌশল হিসেবেই এই লড়াই শুরু হয়। প্রথমবারের মতো কানডার চারটি সামরিক ডিভিশন এতে অংশ নেয়। যা কানাডিয়ান কোর হিসেবে পরিচিতি পায়। আর এই যুদ্ধে আরেকটি কৌশল ছিল নিউজিল্যান্ডের সৈন্যদের বিশাল সুড়ঙ্গ খনন করা। এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে কানাডীয় বাহিনী আকস্মিকভাবে জার্মানদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বহু কানাডীয়ের বিশ্বাস ভিমির বিজয় ছিল ব্রিটেনের উপনিবেশিক শাসন থেকে কানাডার মুক্তি অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। অবশ্য অন্টারিওর রয়্যাল মিলিটারি কলেজের মাইকেল বয়ের একে স্রেফ কাহিনী বলে অভিহিত করেছেন। কানাডা ১৯৩১ সালে রাজনৈতিকভাবে আধা-স্বায়ত্তশাসন লাভ করে। ভিমির যুদ্ধ গুরুত্ব পায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ উত্তর কাহিনী বিনির্মাণে। অটোয়ায় কানাডিয়ান ওয়ার মিউজিয়ামের বিশ্লেষক টিম কুক বলেছেন, ভিমির যুদ্ধের গুরুত্ব কোনমতে হালকাভাবে গ্রহণের উপায় নেই। -এএফপি
×