ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নথি গায়েব ॥ আদালত কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ৮ মার্চ ২০১৭

নথি গায়েব ॥ আদালত কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মামলার নথি গায়েব করার অভিযোগে রাজশাহীর যুগ্ম-মহানগর দায়রা জজ-১ আদালতের এক কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আরিফ আহম্মেদ রকি (৩৫) নামের ওই কর্মচারীকে পুলিশে দিয়েছেন বিচারক। মঙ্গলবার দুপুরে ওই আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম তাকে পুলিশে দেন বলে জানান রাজপাড়া থানার ওসি আমান উল্লাহ। পুলিশ জানায়, আরিফ আহম্মেদ রকি রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানার মোল্লাপাড়া এলাকার মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি যুগ্ম-মহানগর দায়রা জজ-১ আদালতের অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন। ওসি আমান উল্লাহ বলেন, একটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক জালিয়াতি মামলার নথি গায়েব করে দেয় আরিফ। এ অভিযোগে তাকে তিন মাস আগে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে আদালতে নথি ফেরতের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে তিনি গত তিন মাস ধরে গায়েব করা নথি ফেরত দেবেন বলে টালবাহনা করছিলেন। এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে ডাকা হয়। এ সময় আরিফ গায়েব হওয়া নথি ফেরত দিতে না পারায় তাকে পুলিশ দেন বিচারক। গৃহবধূকে কোপানোর মামলায় ১০ বছরের দ- নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৭ মার্চ ॥ ঝিনাইগাতীতে সঙ্গোপনে গৃহে প্রবেশ ও চুরির ঘটনায় হাতেনাতে ধৃত হওয়ার পর গৃহবধূকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার মামলায় ফজলুল করিম ফজল (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- প্রদান করেছে আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ্ উদ্দিন এ দ-াদেশ প্রদান করেন। দ-প্রাপ্ত আসামি ফজল ঝিনাইগাতী উপজেলার ভালুকা গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি ফজলুল করিমের বাবা আকরাম হোসেনকে খালাস দেয়া হয়। তবে দ-প্রাপ্ত আসামি ফজল পলাতক রয়েছে। অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠা-ু জানান, ঝিনাইগাতী উপজেলার ভালুকা গ্রামের প্রবাসী আরিফ হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের কাছে একই গ্রামের ফজলুল করিম ও তার বাবা আকরাম হোসেন বিভিন্ন সময়ে টাকা-পয়সা ধার চেয়ে না পাওয়ায় শত্রুতা পোষণ করে আসছিল। ওই শত্রুতার জের ধরে ২০১০ সালের ১৭ আগস্ট রাতে ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে শোকেসে থাকা কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল চুরি করে ফজল।
×