ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যিকভাবে সেন্সর কার আনছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৫ মার্চ ২০১৭

বাণিজ্যিকভাবে সেন্সর কার আনছে যুক্তরাষ্ট্র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জীবন রক্ষা ও রাজস্ব অপচয় রোধে এবার কেবল স্বয়ংক্রিয়ই নয় ‘সেন্সর কার’ বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে কংগ্রেসে আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। তবে অত্যাধুনিক এ গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজারে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে নানা মডেল ও বাহারি ডিজাইনের প্রায় শতাধিক সেন্সর কার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ গাড়িগুলো ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে শুরু করে তুষারপাতে পিচ্ছিল রাস্তা, খানাখন্দকে ভরা রাস্তা, ব্রিজ, অন্য গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কার মতো বিষয়গুলো আগেই সতর্ক করবে চালককে। এমনকি থেমে যাবে নিজে থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের ৩ লাখ কোটি ডলারের এই অটো ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসেন গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি, আর্থিক ক্ষতি রোধের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন বক্তারা। তবে এসব গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এলে অভিবাসী সমাজে বেকারত্ব বাড়ানোসহ নানা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। দ্য কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান গ্যারি শাপিরো বলেন, এ ক্ষেত্রে মানুষের জীবন রক্ষাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে। যানবাহন যেমন আমাদের জন্য জরুরী তেমনি এর কারণে অনেকের মূল্যবান জীবনও চলে যাচ্ছে, তাই এমন উদ্ভাবন আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর মানুষ পড়াশোনায় যত এগিয়ে যাবে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তত এগিয়ে যাবে, তত বেশি কর্মসংস্থানও তৈরি হবে বলে আমি মনে করি।’ আর কংগ্রেস ওমেন ডেবি ডিঙ্গল জানান, আইন প্রণয়নে জনগণের স্বার্থকেই গুরুত্ব দেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নয়ন হলে অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বেই। উন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী শিক্ষা চান পরিকল্পনামন্ত্রী স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, উন্নয়নের জন্য প্রথাগত শিক্ষা নয়, যুগোপযোগী শিক্ষা অপরিহার্য। যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারলে চাকরিপ্রার্থী নয় বরং চাকরিদাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) ক্যাম্পাসে বিইউবিটি এবং চাকরি ডটকম এর যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী ক্যারিয়ার মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মেলায় ১৬টি কোম্পানি অংশ নেয়। বিইউবিটি উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আবু সালেহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিইউবিটি ট্রাস্ট সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার যে গতিতে কাজ করছে, তাতে ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। যুব সমাজ হচ্ছে অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। এজন্য তরুণদের অংশগ্রহণে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন করে জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা হবে। মেলা উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
×