ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জ্ঞানালোক পুরস্কার পেলেন তিন গুণী

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জ্ঞানালোক পুরস্কার পেলেন তিন গুণী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০১৫ সাল থেকে প্রবর্তিত ‘জ্ঞানালোক’ পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হলো দেশের তিন গুণী ব্যক্তিত্বের হাতে। কথাশিল্পী ও বিজ্ঞানী পূরবী বসু এবং প্রতœতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৫ সালে যুগ্মভাবে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া ২০১৬ সালে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন উয়ারী বটেশ্বর প্রতœস্থানের খ্যাতিমান পথিকৃৎ গবেষক, সংগ্রাহক মুহম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. নূহ উল আলম লেনিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি এ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে বিক্রমপুর সম্পর্কে শুনেছি, সেখানে অনেক জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তিদের বসবাস ছিল এখনও আছে। সেখানে হরগঙ্গা কলেজে শিক্ষকতাও করেছি। বাংলাদেশের প্রতœতত্ত্ব বিষয়ে সমৃদ্ধ উয়ারী বটেশ্বর আমাদের গৌরব ও গর্বের বিষয়। আমি সেখানের প্রতœতত্ত্ব খননকার্যের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করি। আজ যারা ‘জ্ঞানালোক’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। আশা করব তাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। তারা যেন আরও ভাল ভাল কাজ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর প্রধান অতিথি পুরবী বসু, ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও মুহম্মদ হাবিবুল্লার হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ করে টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন। বাংলা সাহিত্যে সমগ্রিক অবদান, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ ও জাতি গঠনে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য পুরবী বসু, প্রতœতাত্ত্বিক অনুসন্ধান, খনন, গবেষণা, সংরক্ষণ এবং সাংগঠনিক উদ্যোগের জন্য ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও উয়ারী বটেশ্বর অঞ্চলে প্রতœতাত্ত্বিক অনুসন্ধান, প্রতœবস্তু সংগ্রহ, গবেষণা, সংগ্রহশালা গড়ে তোলা, উৎখননের কাজে যুক্ত থাকা এবং লোকসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য মুহম্মদ হাবিবুল্লা এই পুরস্কারে ভূষিত হন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ছায়া কর্মকার, পান্না দত্ত ও মকবুল হোসেন।
×