ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফিশিং ট্রলারে আসছে বড় বড় ইয়াবার চালান

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ফিশিং ট্রলারে আসছে বড় বড় ইয়াবার চালান

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সাগরে ইয়াবার যেসব চালান ধরা পড়েছে সেগুলো কক্সবাজার পর্যন্ত নিয়ে আসছে মিয়ানমারের পাচারকারীরা। কক্সবাজার থেকে আনোয়ারাকেন্দ্রিক ফিশিং ট্রলার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হচ্ছে এসব ইয়াবা। তবে কক্সবাজার থেকে আনোয়ারা হয়ে ইয়াবার চালান আসছে সবচেয়ে বেশি। কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট। তবে বার্মা বা মিয়ানমার এবং দেশীয় চোরাচালানিদের অন্যতম রুট হচ্ছে আনোয়ারা-গহিরা উপকূলীয় অঞ্চল। গত তিন মাসে বৃহৎ দু’টি চালানের ইয়াবার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এ দু’টি ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৫ মিয়ানমার নাগরিকসহ ১৭ জনের তথ্যে উঠে এসেছে সমুদ্রকেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের তৎপরতা ও পাচার। অভিযোগ রয়েছে, ইয়াবা কেউ পাচার করছে, আবার কেউবা ইয়াবা বহন করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ কেউ ইয়াবাকে কেন্দ্র করে অল্প সময়ে কোটিপতি বনে যাচ্ছে। ইয়াবা নিয়ে নানা প্রশ্ন চট্টগ্রামে। তবে প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের লোকজন। দায়িত্বহীনতা ও আর অর্থ বাণিজ্যে প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতার কারণে এখনও ইয়াবার চালান স্থানান্তরিত হচ্ছে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, তত দিন ইয়াবার চালান বন্ধ হবে না যত দিন পর্যন্ত প্রশাসনের লোকজন এনিয়ে বাণিজ্যে মেতে থাকবে। এ কারণে চট্টগ্রামে জলপথে ও সড়কপথে ইয়াবার চালান আসছে প্রতিনিয়ত। তবে এরই মধ্যে ইয়াবার বড় বড় চালানগুলো আসে সমুদ্রপথে ও নৌপথে। গত তিন মাসে ২টি ফিশিং ট্রলারসহ মিয়ানমার ও এ দেশের ১৬ ইয়াবা পাচারকারীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো যারা সাগরে মাছ ধরার নামে জেলে হিসেবে প্রশাসনের তালিকায় রয়েছে তাদের অনেকেই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাছের ব্যবসার আড়ালে ইয়াবার চালান মিয়ানমার হতে চট্টগ্রামে নিয়ে আসছে। ইয়াবা পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তারা মূলত কক্সবাজার টেকনাফ এলাকার। উপকূলীয় এলাকায় থাকার কারণে এরা নৌপথকে বেছে নিয়েছে। গত শনিবার কক্সবাজারের গভীর সমুদ্র থেকে ফিশিং ট্রলার তল্লাশি করে সাড়ে চার লাখ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ৫ মিয়ানমার নাগরিক ও চার জেলে বেশি মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ মিলেছে। এর আগে গত বছরের ৫ অক্টোবর আরেকটি ফিশিং ট্রলার থেকে ২০ কোটি টাকা মূল্যের ৫ লাখ পিস ইয়াবার বড় চালান উদ্ধার করে র‌্যাব।
×