ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী বেনো হামোঁ

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী বেনো হামোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্রেঞ্চ সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বেনো হামোঁ। তিনি এক সার্বজনীন প্রাথমিক আয়ের সূচনা ও মাদকদ্রব্য আইনসম্মত করতে এবং ট্যাক্স রবোট চালু করতে চান। দলের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রাইমারী ভোটের আংশিক ফলাফলে দেখা যায়, হামোঁ ৫৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে স্পষ্টত জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যপন্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভ্যালস পেয়েছেন প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট। ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদের অবাধ বাজার ও মধ্য বামনীতির বিরুদ্ধে দলের বামপন্থী বিদ্রোহীদের এক বিজয়। এ বিজয় একজন অজনপ্রিয় নেতার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে ভোটারদের এক ঘৃণাব্যঞ্জক রায় বলে মনে করছেন বামপন্থীরা। সোশ্যালিস্ট পার্টির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে এ তিক্ত ও চরম লড়াই হয়েছে এ প্রাইমারী ভোটে। হামোঁ তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ফ্রেঞ্চ সোল্যালিস্ট পার্টি আবারও মাথা তুলতে সমর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, তিনি এমন একটি বাম ধারার প্রতিনিধিত্ব করেছেন যা ভবিষ্যত পরিবর্তনের দিকে এগিয়েছে এবং তা বিজয় এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেশের জন্য এমন বামপন্থীর প্রয়োজন যিনি আজকের পৃথিবী যেমন তেমন করে ভাববেন, পৃথিবীর অতীতে ধ্যান-ধারণার কথা ভাববেন না। ভবিষ্যত নাগরিকরা কী চায় তারই সূচনা করতে পারেন একজন বামপন্থী। জ্যালস পরাজয় মেনে নিয়ে হামোঁর কুশল কামনা করেছেন। তিনি দলকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। ওলাঁদ বিপর্যয়কর অর্থনীতি ও সমাজবাদী আদর্শের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের জন্য অভিযুক্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে অজনপ্রিয় এ নেতার জনসমর্থন নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। তিনি গত মাসে বলেছেন, তিনি নির্বাচনে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। হ্যামোঁর জন্য এখন প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দলের বামপন্থী ও মধ্য বামপন্থীদের মধ্যকার বিরোধ বন্ধ করার চেষ্টা করা। এরপর নির্বাচনী প্রচারের সময় তার বক্তব্য অনুসারে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দলকে যেখানে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা তা প্রমাণ করা। হামোঁ (৪৯) শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বামপন্থী বিদ্রোহী এমপিদের মধ্যে এক বিশাল ব্যক্তিত্ব। তিনি ওলাঁদ ও ভ্যালের অবাধ বাজার নীতির বিরোধিতা করে ২০১৪ য়ে সরকার থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। তিনি এরপর ফ্রান্সের শ্রম আইন শিথিলে ওলাঁদের বিতর্কিত উদ্যোগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী এমনপিদের নেতৃত্ব দেন। তিনি সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৩৫ থেকে ৩২ ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে চান।
×