ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাহফুজুল বারীর প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

মাহফুজুল বারীর প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি এবং মহান মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম সংগঠক মাহফুজুল বারীর স্মৃতির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করল সর্বস্তরের মানুষ। মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। এ সময় ড. মাহফুজুল বারীর স্বজন, আত্মীয় এবং গুণমুগ্ধরাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সর্বস্তরের মানুষ এই মহান যোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের আয়োজন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচী শেষে মাহফুজুল বারীর প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করে বাংলাদেশ পুলিশের একটি চৌকস দল। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজের পর তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মাহফুজুল বারীর মরদেহ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হিমাগারে রাখা হয়। সেখান থেকেই রাতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা মাহফুজুল বারীর মরদেহ নিয়ে কানাডা যাত্রা করেন। উদীচী কানাডা সংসদের সম্মানিত উপদেষ্টা মাহফুজুল বারী ২৩ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মাহফুজুল বারীর জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তাঁর সহযোদ্ধা এবং গুণীজনরা। উদীচীর সাবেক সভাপতি কামাল লোহানী বলেন, মাহফুজুল বারী কখনই মৃত্যুবরণ করতে পারেন না। তিনি সবসময়ই সবার মনে থাকবেন। তিনি অমর। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর দেশত্যাগে বাধ্য হয়ে কানাডায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেও তিনি সারাজীবনই বাংলাদেশের প্রতি টান অনুভব করতেন। সেই টান থেকেই তিনি উদীচী কানাডা সংসদের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। উদীচী কানাডা শাখা সংসদের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে গত ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ অনুষ্ঠিত উদীচীর ২০তম জাতীয় সম্মেলনেও অংশ নেন। আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি এবং মাহফুজুল বারীর সহযোদ্ধা আব্দুল জলিল সরকারী উদ্যোগে কোন শ্রদ্ধা নিবেদন বা শোক কর্মসূচি ঘোষণা না করায় ক্ষোভ জানান। মাহফুজুল বারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি কর্নেল শওকত আলীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে জাসদ, ইউনুসুর রহমানের নেতৃত্বে জাসদ-এর একাংশ, জাসদ ছাত্রলীগ, মাহফুজুল বারীর পরিবারবর্গ, সার্জেন্ট জহুরুল হকের পরিবার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বজলুর রশিদ ফিরোজের নেতৃত্বে বাসদ, পঙ্কজ ভট্টাচার্য্যরে নেতৃত্বে ঐক্য ন্যাপ, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, ডা. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি’র ঢাকা কমিটি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষে সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সৈকত ডিগ্রী কলেজ, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ, উদীচী হাজারীবাগ শাখা সংসদ, উদীচী লালবাগ শাখা সংসদ, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ, মতিউর রহমান পাটোয়ারী, আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি ডা. কর্নেল শামসুল আলম, আগরতলা মামলার অন্যতম আসামি আব্দুল জলিল, ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা মূল্যায়ন পরিষদ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন প্রভৃতি সংগঠন।
×