ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে পর্যটকদের আনন্দ মাটি

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১ জানুয়ারি ২০১৭

চট্টগ্রামে পর্যটকদের আনন্দ মাটি

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে পর্যটকদের আনন্দ শেষ পর্যন্ত মাটি হয়ে গেল বছরের শেষ দিনে। শনিবার বিকেলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও কর্ণফুলীর মোহনা থাকা নেভাল এলাকায় বিকেল ৫টার পর থাকতে পারেনি পর্যটকরা। ক্ষুব্ধ পর্যকটরা পুলিশের দায়িত্বহীনতাকে দূষছে। এর কারণ হচ্ছে শুক্রবার সিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, পারকি বিচ ও কর্ণফুলী মোহনায় থাকা নেভাল এলাকায় যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু নেভাল এলাকাকেন্দ্রিক চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের যাত্রীরাই এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে সরকার পর্যটন শিল্পকে গতিশীল করতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে পতেঙ্গা ও পারকি বিচকে নিষিদ্ধ করেছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য থাকার পরও কেন সিএমপি এ দুটি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের অবস্থান করতে দেয়নি তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। শুধু তাই নয়, শনিবার পতেঙ্গা ও পারকি বিচ এলাকা থেকে পর্যটকদের বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে পর্যটকদের সঙ্গে বাকবিত-াও হয়েছে পতেঙ্গা থানা পুলিশের। শনিবার সরকারী ছুটির দিন থাকায় পতেঙ্গা ও কর্ণফুলী মোহনায় থাকা নেভাল এলাকায় পর্যটকদের ভিড় ছিল প্রচুর। কিন্তু পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকে ঐ এলাকায় যেতে পারেনি। আবার অনেকে গেলেও ফেরত আসতে হয়েছে। অপরদিকে, পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে সরকার গত কয়েক বছর ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘বিচ কার্নিভ্যাল’ এর আয়োজন করছে। প্রতিবছরের ন্যায় ২০১৬ সালে ৩১ ডিসেম্বর শেষ রাতে ও ২০১৭ সালের শুরুতে তিন দিনব্যাপী বিচ কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। ফলে কক্সবাজারের প্রায় ৪০০ হোটেল-মোটেল, রেস্তরাঁ ও ক’টেজ পর্যটকদের পদচারণায় টুইটুম্বুর অবস্থা। এমনও দেখা গেছে তিল ধারণের ঠাঁই নেই সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবনী পয়েন্ট এনকি ইনানী বিচে। আনন্দে মাতোয়ারা পর্যটকরা কক্সবাজারে মেতে উঠলেও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যেতে পারেনি বিকেলের পর। যেখানে প্রতিদিনই রাত অবধি পর্যটকদের টানা ভিড় থাকে। সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটের, রেস্তরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেছে এই থার্টিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে পহেলা জানুয়ারি ভোর ৫টা পর্যন্ত কোন ধরনের আতশ বাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পর পতেঙ্গা ও পারকি সমুদ্র সৈকতে অবস্থান না করার জন্য পর্যটকদের বলা হয়েছে। ফয়’স লেক, ডিসি হিল, আগ্রাবাদ শিশু পার্ক, কাজির দেউরী শিশু পার্কসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে থাকা বিনোদন স্পটগুলোতে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল প্রকার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটাতে বলা হয়েছে। হোটেল-মোটেল ও ক্লাবের বাইরে কোন রকমে মদ্যপ অবস্থায় থাকা চলবে না। পুলিশের অনুমতি ব্যতীত খোলা মাঠ বা রাস্তায় থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর বিমান যাত্রী ব্যতীত কোন গাড়ি ঐ এলাকায় প্রবেশ করতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
×