ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাটে ধর্ষণচেষ্টা

দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরী জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

 দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরী জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ২৫ ডিসেম্বর ॥ ধর্ষণে ব্যর্থ দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হওয়ার ৩৩ ঘণ্টা পরও কালাই উপজেরার বানদিঘী গ্রামের কিশোরী স্কুলছাত্রীর (১৫) জ্ঞান ফেরেনি। সে এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী মাত্রাই-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। অথচ ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িতদের কাউকে পুলিশ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে ওই গ্রামের শাহারুল আলমের বাড়িতে কে বা কারা ঢুকে তার কিশোরী মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সে বাধা দিলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুর্বৃত্তরা। ফজরের নামাজের সময় কিশোরীর মা রহিমা বিবি ঘুম থেকে উঠে তাদের ঘর বাইরে থেকে বন্ধ দেখে চিৎকার দেয়। লোকজন এসে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় কিশোরী মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, অচেতন কিশোরীকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ এবং পরে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকার আগারগাঁওয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গোটা গ্রামে শোকের ছায়া। মেধাবী ওই ছাত্রীর ওপর এমন ঘটনায় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ওই কিশোরী যে স্কুলে পড়ে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, অত্যন্ত মেধাবী ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ের সবার প্রিয় এবং সে শ্রেণীকক্ষের ক্যাপ্টেন। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এদিকে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, যেহেতু কিশোরীকে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া গেছে, সে কারণে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন না হলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। এ মুহূর্তে মেয়েটিকে বাঁচিয়ে তুলতে চেষ্টা করা হচ্ছে। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে মেয়েটির চাচা আব্দুল বাকিলসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। অন্যদিকে এ নির্মম ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে গ্রামবাসী মাত্রাই-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) এবং ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব লজিক অপরাধীদের শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
×