স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, হলি আর্টিজানের পর যেসব জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালানো হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার আশকোনায় অভিযান চালানো হয়। রবিবার সকাল ১০টায় বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে গীর্জা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, উত্তরার দক্ষিণখানের আশকোনায় ‘সূর্যভিলা’ নামে ওই বাড়িতে জঙ্গীদের কাছ থেকে যেসব অস্ত্র বা গোলাবারুদ পাওয়া গেছে তা লোকালি তাদের কাছে এসেছে। আবার কিছু অস্ত্র গোলাবারুদ বাইরে থেকেও এসেছে। তবে এসব অস্ত্রের উৎস তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযান প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘রিপল২৪’ অভিযানে ৭ জঙ্গীর মধ্যে ৪ জন আত্মসমর্পণ করেছে। এক নারীসহ দু’জন নিহত হয়েছে। এক শিশু আহত হয়েছে। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে মিরপুর রূপনগরের জঙ্গী বিরোধী অভিযানে নিহত মেজর (অব) জাহিদের স্ত্রী ও সন্তান এবং আরেক জঙ্গী মুসার স্ত্রী ও তার সন্তান রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, অভিযানে নিহত হয়েছে সুমন নামের এক জঙ্গীর স্ত্রী। আর আহত শিশুটি জানিয়েছে তার বাবার নাম ইকবাল ও মা শাকিলা।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নারী জঙ্গীর সন্ধান আমরা আগেও পেয়েছি। এটা প্রথম নয়। নারী জঙ্গীরা জঙ্গী পরিবারেরই সদস্য। এখানে পুরুষ ও নারী সবাই জঙ্গী কার্যক্রমে মোটিভেট হতে পারে। জঙ্গী মুছা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার জানান, মুছা বাংলাদেশে আত্মগোপন করে আছে। জঙ্গী মুছা আমাদের জঙ্গী ও সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত আসামি। সে জেএমবির তালিকাভুক্ত সদস্য। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জঙ্গীবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। চলবে। এটি ধারাবাহিক কাজের অংশ। জঙ্গী দমনে পুলিশ শতভাগ সফল। প্রতিটি অভিযানই শতভাগ সফলতার সঙ্গে সমাপ্ত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর ৬২টি গীর্জায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়াও আসন্ন ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যাতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়। ওই দিন রাজধানী জুড়ে পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
