ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বড়দিন উপলক্ষে সারাদেশে নজিরবিহীন নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

বড়দিন উপলক্ষে সারাদেশে নজিরবিহীন নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে থাকছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকছে খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের চার্চগুলো। সব ধরনের বিস্ফোরক ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার ঘটনাটি মাথায় রেখে গুলশানের কূটনৈতিকপাড়ায় থাকছে স্মরণকালের সবচেয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র বড়দিন। দিনটি উপলক্ষে সারাদেশের খ্রীস্টান ধর্মালম্বী ও চার্চগুলোকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অধিকাংশ চার্চের প্রবেশ পথে বসানো হচ্ছে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর। পাশাপাশি চার্চের আশপাশে মোতায়েন থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থল সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ঢাকা মহানগরের ভেতরে ও প্রবেশ পথগুলোতে বসছে বাড়তি চেকপোস্ট। মহানগরীর কঠোর নজরদারি করতে উঁচু ভবনের ছাদে বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। এসব ওয়াচ টাওয়ার থেকে শক্তিশালী বাইনোকুলারের সাহায্যে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারি করা হবে। চার্চের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতও প্রস্তুত থাকছে। পাশাপাশি বাড়তি পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে। আপদকালীন মুহূর্ত মোকাবেলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, সোয়াট, সিআইডির ক্রাইম সিন, র‌্যাবের হেলিকপ্টার ও ডগস্কোয়াড প্রস্তুত থাকছে। ডগস্কোয়াড দিয়ে চার্চের আশপাশে তল্লাশি চালানো হবে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান, ভবন ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো। বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকছে গুলশানের কূটনৈতিকপাড়া ও বিদেশীরা। ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আতশবাজি ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সম্ভাব্য প্রতিটি অনুুষ্ঠানস্থলগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নজরদারি করছে। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর রবিবার রাত বারোটা পর্যন্ত সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন ও ফোটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞা জারির আগে ডিএমপি কমিশনার নিজ কার্যালয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে রাজধানীতে ছোট বড় ৭৬টি চার্চে পর্যাপ্ত আলোসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়। চার্চে প্রবেশের আগে তল্লাশি চালানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চার্চ এলাকার আশপাশে কোন ধরনের ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে চার্চের গেটে থাকা আর্চওয়ে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। চার্চ ও তার আশপাশ এলাকায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এসবির সুইপিং টিম মোতায়েন থাকছে। বৈঠকে খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×