ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সম্ভাব্য উত্তরসূরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন মতের অনুসারী

বিশ্ব রাজনীতিতে সর্বশেষ আঘাত পার্কের অভিশংসন

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬

বিশ্ব রাজনীতিতে সর্বশেষ আঘাত পার্কের অভিশংসন

প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইয়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরীয় পার্লামেন্টে আনা অভিশংসনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে এ ঘনিষ্ঠ সহযোগীর জন্য এক নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যেখানে ওয়াশিংটনের জন্য এক সন্দেহজনক অবস্থানের সৃষ্টি হতে পারে। এ অভিশংসন বিশ্ব রাজনৈতিক শৃঙ্খলার প্রতিও এক আঘাতস্বরূপ হয়ে উঠেছে। খবর এএফপি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনলাইনের। অভিশংসন বিষয়টি এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ৯ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত সাংবিধানিক আদালতে যাবে। যারা পার্ককে সরানোর চেষ্টায় লিপ্ত তারা ব্যর্থও হতে পারেন আদালতের সিদ্ধান্তে। ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলিতে শুক্রবার পার্কের বিরুদ্ধে আনা অভিশংসন প্রস্তাবটি ২৩৪-৫৬ ভোটে গৃহীত হয় এবং তার নির্বাহী ক্ষমতা স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য আদালতের দু-তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে। এ প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ ও অনিশ্চিত এবং সম্পন্ন হতে ৬ মাস লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ ও ইতালীয় গণভোটের জয় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর বিশ্ব রাজনৈতিক শৃঙ্খলায় নতুন করে এক মারাত্মক আঘাত হয়ে দেখা দিয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার এ বৃহত্তম রাজনৈতিক সঙ্কটে পার্কের বিরুদ্ধে গত ছয় সপ্তাহ ধরে লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করছিল রাজধানী সিউলের রাস্তায়। দুর্নীতির অভিযোগে পার্কের এ তাৎক্ষণিক অপসারণে এক সন্ধিক্ষণের সূচনা হয়েছে। প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের গোপন দলিল ফাঁস এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। পার্ক টেলিভিশনে ৩টি বিবৃতিতে এ দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেছেন। পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে পার্ক বলেছেন, আমার অবহেলা ও ত্রুটির কারণে এ ধরনের মারাত্মক জাতীয় গোলযোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমি আমার কোরীয় সহযোগীদের কাছে সত্যিই দুঃখিত। সাংবিধানিক আদালত সম্ভাব্য কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবটি বহাল রাখলে দু’মাস পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বেশিরভাগ জনমতে দেখা যাচ্ছে বামপন্থীরা নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জার হয়ে দাঁড়াবেন। মধ্য বামপন্থী দলগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার জোটবদ্ধতার ব্যাপারে আরও বেশি সন্দিহান এবং পিয়ং ইয়ংয়ের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা থাডের মতো নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের মতো ওয়াশিংটন যে সকল নীতি গ্রহণ করতে চাইছে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) কোরিয়া বিষয়ক সাবেক ডিপুটি ডিভিশন প্রধান, বর্তমানে রক্ষণশীল ওয়াশিংটন থিংক ট্যাঙ্ক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে কর্মরত ব্রুস ক্লিংনার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে সকল নীতি সত্যিকারভাবে পছন্দনীয় সেগুলোর মধ্যে বেশ কিছু নীতি বাস্তবায়ন করেছেন বা বাস্তবায়ন শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট পার্ক।
×