স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের ধর্ম ও মানবতার শত্রু বলে অভিহিত করেছেন সুন্নী সম্প্রদায়ের নেতারা। সুন্নী সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক দল ইসলামী ফ্রন্টের এ সহযোগী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে সুন্নী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমানে যারা ইসলামের লেবাস পরে অমুসলিম সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে এবং তাদের ওপর অত্যাচার করছে তারা ইসলাম এবং মানবতার শত্রু। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ছাত্রনেতার সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতীর সভাপতিত্বে কর্মসূচী পালিত হয়। ইমরান হুসাইন তুষারের পরিচালনায় কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব ও যুবসেনার সভাপতি অধ্যাপক এম এ মোমেন, ফ্রন্টের সাংগঠনিক সচিব আল্লামা আ ন ম মাসউদ হুসাইন আলকাদেরী, সৈয়দ মুজাফফর আহমাদ, মুহাম্মদ আবদুল মতিন, মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আনছারী, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, সোলায়মান খান রব্বানী, ছাত্রসেনার সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুর রহমান খান, শাহাদাত হুসাইন, মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, এইচ. এম. শহীদুল্লাহ, নুরুল্লাহ রায়হান খান, কাওসার আহমাদ, ফয়সাল করীম, আবুল কালাম আজাদ, আমান উল্লাহ আমান, নিজামুল করীম সুজন, আলী আকবর, মোহাম্মদ শাহ্জালাল, শেখ মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম মানবতার ধর্ম। প্রিয়নবী (দ.) শুধু মুসলিমদের ক্ষেত্রে নয়, বরং সকল মানবজাতির জন্য ধর্মীয় সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করেছিলন। তিনি বিদায় হজের ভাষণে আরবের অমুসলিম সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান এবং মুসলিমদের জন্য তাদের রক্ত হারাম করে দিয়েছিলেন। মদিনা সনদের ধারা যাদের জানা থাকে তারা কখনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারেনা বলে মন্তব্য করেন ইসলামী দলটির নেতারা।
তারা আরও বলেন, জামায়াত এবং হেফাজতি যাদের বন্ধু হয় তাদের শত্রুর প্রয়োজন হয়না। তেতুল শফি সরকারী দলের সকল অঙ্গসংঠনের নেতা-কর্মীকে তাদের বন্ধু বলে আখ্যায়িত করে সখ্যতা গড়ে তুলে মাজার ভাঙ্গার সংস্কৃতি চালু করে মন্দির ভাঙ্গার কাজে নতুন করে লিপ্ত হয়েছেন। যারা ইসলামের লেবাস পড়ে অমুসলিম সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়- তারা ইসলাম ও মানবতার শত্রু। মানববন্ধনে বি-বাড়িয়ার নাসির নগরে হিন্দু সমাজ ও সিলেটের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলাসহ সারাদেশে চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতনে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তোলা হয় কর্মসূচী থেকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: