ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্যোগে জীবন ও সম্পদহানি বাংলাদেশে কমেছে ॥ মোদি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৪ নভেম্বর ২০১৬

দুর্যোগে জীবন ও সম্পদহানি বাংলাদেশে কমেছে ॥ মোদি

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সফল। বিশেষ করে কমিউনিটি পর্যায়ে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখযোগ্য বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লীতে এশীয় দেশগুলোর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দুর্যোগকালীন ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে এশীয় দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের প্রথম সম্মেলন বৃহস্পতিবার দিল্লীতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ সরকার কমিউনিটি পর্যায়ে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্যোগের সময় জীবন ও সম্পদহানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বৈশ্বিক পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় জোর দেন তিনি। দুর্যোগ প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এশিয়ার ৬০টি দেশের মন্ত্রীরা এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে দুর্যোগের আগেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এছাড়া কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো হয়েছে। এটা অবশ্যই একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। দুর্যোগের সময় স্থানীয় পর্যায়ে সাড়া দেয়ার জন্য ত্রাণ ব্যবস্থাপনাও শক্তিশালী করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ঝড় ও বন্যা থেকে প্রান্তিক মানুষকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার তিন হাজার ৮৫১টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৪২টি ফ্লাড শেল্টার নির্মাণ করেছে। সাইক্লোনের সময় কাজের জন্য ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার। এছাড়া শহরে বিভিন্ন দুর্যোগের সময় কাজের ৩২ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ত্রাণমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় ঘোষণা দিয়েছেন ‘দুর্যোগে আর কোন মৃত্যু নয়।’ সে অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার দুর্যোগ প্রতিরোধে কাজ করে চলেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আরও জানান, জলবায়ু ঝুঁকি পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এছাড়া ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৮ মিলিয়ন ডলারের পরিবেশবান্ধব সোলার প্যানেল কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন ঝুঁকি কমানোর জন্য এশীয় দেশসমূহে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সে লক্ষ্যে সম্মেলনে ‘এশীয় আঞ্চলিক পরিকল্পনা’ গ্রহণ করা হবে। সম্মেলন শেষে ‘দিল্লী ঘোষণায়’ দুর্যোগ প্রতিরোধ ও ঝুঁকি কমাতে অংশ গ্রহণকারী সরকারসমূহের প্রতিশ্রুতির বিশদ ব্যাখ্যা থাকবে। আগামীকাল শনিবার এই সম্মেলন শেষ হবে।
×