ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দিল্লীর এপিবি নাট্যোৎসবে ঢাবির ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

দিল্লীর এপিবি নাট্যোৎসবে ঢাবির ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উপমহাদেশের মঞ্চ নাটকের তীর্থস্থান খ্যাত ভারতের নয়াদিল্লীর ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে (এনএসডি) আগামী ১৯ থেকে ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাত দিনব্যাপী ৯ম এশিয়ান প্যাসেফিক এপিবি নাট্যোৎসব। এ উপলক্ষে সেমিনার ও নাট্যকর্মশালারও আয়োজন করা হবে। এবারের নাট্যোৎসবে এশিয়ার অন্যান্য দেশের নাটকের সঙ্গে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের নাটক। নাট্যোৎসবে জ্যঁ রাসিনের ফরাসী ধ্রুপদী নাটক ‘ফেইড্রা’র অসিত কুমার কৃত বাংলা অনুবাদ অবলম্বনে ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ প্রদর্শিত হবে। ঢাবির থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীনের নির্দেশনায় নাটকে থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের এমএ (শেষ বর্ষ) শিক্ষার্থীরা অভিনয় করছেন। এ উপলক্ষে শনিবার বিকাল ৪ টায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় টিএসসি তৃতীয় তলায় সেমিনার কক্ষে নাটকটির বিশেষ একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। নাটকটি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ থেকে যখন একটি প্রযোজনা হয় তখন সেটি আর শুধু একটি প্রযোজনারূপেই থাকে না। ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ প্রযোজনাটি থিয়েটারের শিক্ষণপ্রণালীর ফলাফলরূপে নির্মিত। আমার মনে হয়, পেডাগজি বা শিক্ষণপ্রণালী কেবল কিছু নিয়মবদ্ধ নীতিমালা বা পদ্ধতি মাত্র নয়। শিক্ষা পদ্ধতি বলতে সাধারণত যা বোঝায়, শিল্পের শিক্ষণপ্রণালী তার চেয়েও বেশি কিছু। আর জ্যঁ রাসিনের ‘ফেইড্রা’ নাটকে ফরাসী ধ্রুপদীবাদের মৌল নীতিগুলোর প্রতিফলন খুবই স্পষ্ট। কিন্তু রাসিনের এই মাস্টারপিসের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আমরা এক নতুন প্রস্থান বিন্দুর সূচনা করতে চেয়েছি। এই প্রস্থান-বিন্দুতে লক্ষ্য করা যাবে পশ্চিমা ধ্রপদী কানুনের সঙ্গে আমাদের অঞ্চলের এথনিক বা জাতিতাত্ত্বিক ও দেশজ নাট্য নন্দনতত্ত্বের একটি সংশ্লেষ ঘটেছে। আমরা এই প্রযোজনার মর্মস্থলে বা পরতে পরতে অভিনয়, দৃশ্যগত উপাদান যেমন মঞ্চ আলো পোশাক রূপসজ্জা, দেহবিন্যাস এমনকি বিষয়বস্তু বা পা-ুলিপিগত দিক থেকেও সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে পুনঃসৃজনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি। নাট্যসাহিত্যের অনুকরণের ধারণাকে না বলতে চেয়েছি। অনুকরণের পরিবর্তে এই প্রযোজনায় আমরা গুরুত্ব দিয়েছি থিয়েটার শিল্পের সৃজনশীল মূলনীতিগুলোকে কিভাবে নতুনভাবে প্রয়োগ করা যায়।’ এক ঘণ্টা ব্যাপ্তিকালের নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইলিয়াস বাসেত, আফরিন তোড়া, ইসতিয়াক খান পাঠান, ধীমান চন্দ্রবর্মন, রানা নাসির, সাওগাতুল ইসলাম হিমেল এবং সাফওয়ান মাহমুদ। কোরাসে সাইদুর রহমান লিপন, কাজী তামান্না হক সিগমা, অমিত চৌধুরী এবং প্রযোজনার শিক্ষার্থীরা। ড্রামাতুর্গ ও নাট্যকথন ও গীতরচনায় শাহমান মৈশান, মঞ্চ, আলো ও দ্রব্য পরিকল্পনায় আশিক রহমান লিয়ন, পোশাক পরিকল্পনায় ওয়াহীদা মল্লিক জলি, আশিক রহমান লিয়ন, কাজী তামান্না হক সিগমা, রূপসজ্জা পরিকল্পনায় রহমত আলী, সঙ্গীত পরিকল্পনা ও প্রয়োগে সাইদুর রহমান লিপন, কাজী তামান্না হক সিগমা এবং দেহবিন্যাসে অমিত চোধুরী।
×