সমুদ্র হক ॥ কৃষি উন্নয়নের অগ্রগতির ধারায় মাঠ পর্যায়ের অর্থনীতির গতি বেড়ে যাওয়ায় দেশে মানসিক স্বাস্থ্যের অগ্রগতি হয়েছে। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ এখনও সহনীয় পর্যায়ে না আসায় এবং নানা কারণে বিষণœতা ও অবসাদের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় ব্যক্তি ও পরিবারের মধ্যে অজানা এক অস্থিরতা বিরাজ করছে। সামাজিক বন্ধন শিথিল হওয়াই এর অন্যতম কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে বলা হয়েছে- মোট জনগোষ্ঠীর অন্তত ৩০ শতাংশ জীবনের কোন না সময়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বর্তমানে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে আকস্মিক এ প্রবণতা বেড়ে গেছে। বিষয়টির ওপর দৃষ্টি দিয়ে এবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হয়েছে- ‘সকলের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করুন।’
একজন মনোবিজ্ঞানী ও চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিষণœতা, অবসাদ, হতাশা ও অস্থিরতা থেকে সৃষ্ট মানসিক ডিপ্রেশনের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা হলো ‘কাউন্সেলিং’। আত্মীয়স্বজন এবং কাছের প্রকৃত বন্ধুরাই পারে কারও মানসিক অবসাদ ও উদ্যমহীনতা কমিয়ে আনতে। কাউন্সেলিং হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চিকিৎসা। তার মতে, কেবলমাত্র ওষুধ সেবন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারে না। ওষুধ কেবল সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: