ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইরানের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৮ অক্টোবর ২০১৬

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

রাশিয়ার কর্মকর্তারা সিরিয়া সঙ্কট ইস্যুতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা বলেন, মস্কো ইরানের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াচ্ছে এবং ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের। রুশ সেনাবাহিনী জানায়, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে একটি নতুন ছোট যুদ্ধজাহাজ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সিরীয় উপকূলের অদূরে রাশিয়ার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের একটি বহরে যোগ দেবে। রাশিয়ার একমাত্র বিমানবাহী রণতরীও বছর শেষ হওয়ার আগে বহরে যোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়া সিরিয়া সঙ্কট ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগও বাড়িয়েছে। রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর বলেন, আন্তঃসিরীয় আলোচনার লক্ষ্যে অবিলম্বে নতুন করে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা শুরুর বিষয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এ তথ্য জানায়। সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে তেহরান ও মস্কো দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করে আসছে। অস্ত্রবিরতির মধ্যস্থতা করতে মার্কিন-রুশ প্রচেষ্টা সম্প্রতি ভেস্তে যায়। ওয়াশিংটন আলেপ্পো নগরীতে একটি বড় ধরনের হামলায় মস্কোর ভূমিকার বিষয়ে সতর্ক করে দেয়। রাশিয়ার সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, সিরিয়ার সামরিক অবস্থানে ভবিষ্যতে কোন হামলা চালানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতার সঙ্গে ভাবা উচিত। কারণ, রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের ওপর আঘাত হানতে পারে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন ১৭ সেপ্টেম্বর ভুলবশত একটি সিরীয় সামরিক অবস্থানে গোলাবর্ষণ করে। এতে দামেস্ক ও মস্কো ক্ষুব্ধ হয়। রাশিয়ার সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কনাশেনকভ বৃহস্পতিবার জানান, মেইমিনে তাদের ঘাঁটিতে সিরীয় সেনাবাহিনীর এস-২০০ ও বাক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং রাশিয়ার এস-৩০০ ও সর্বশেষ উদ্ভাবন এস-৪০০ ব্যবস্থা রয়েছে। রাশিয়ার পার্লামেন্টও সিরিয়ায় মস্কোর সামরিক উপস্থিতি আরও সুদৃঢ় দেখতে চাচ্ছে। রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার্স কমিটি এ বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করেছে। সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কয়েকটি এয়ার ফোর্স ইউনিটের ঘাঁটি স্থাপনে শুক্রবার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়ার কথা পার্লামেন্টের। জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি স্টাফেন ডি মিশ্চুরা বলেন, সংঘাত থামানো না গেলে আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চল আড়াই মাসের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশেষ বিবেচনায় পুরাতন নগরীটি নিয়ে আলোচনা করছি। সংঘাতে সন্ত্রাসী নয়, হাজার হাজার বেসামরিক সিরীয় নাগরিক নিহত হবে। তাদের অনেকেই আহত এবং তাদের মধ্যে হাজার হাজার লোক সংঘাত থেকে জীবন বাঁচাতে শরণার্থী হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
×