ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হুমকির মুখে ইনকা সভ্যতার লীলাভূমি পেরুর মূল্যবান অরণ্য

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

হুমকির মুখে ইনকা  সভ্যতার লীলাভূমি  পেরুর মূল্যবান অরণ্য

পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে রয়েছে গ্রীষ্মম-লীয় শুষ্ক বনভূমি অঞ্চল। এখনও বিজ্ঞানী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারীরা বিষয়টিতে দৃষ্টি দিচ্ছেন না। সেজন্য সতর্ক করেছেন গবেষকরা। খবর বিবিসির। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব বনভূমিতে অনেক প্রজাতির গাছ ও প্রাণী রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও মেলে না। এখানকার উর্বর মাটি অর্থকরী ফসল উৎপাদনের জন্য আদর্শ বিবেচিত। প্রাক-কলম্বিয়ান সভ্যতার যুগে অর্থাৎ কলম্বাসের আমেরিকায় আগমনের পূর্বে ইনকারা উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এসব ভূস্বর্গকে কাজে লাগিয়েছে। ভুট্টা, শিম, মটরশুটি, টমেটো ও বাদামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের উৎস ছিল গ্রীষ্ণম-লীয় এ বনভূমি অঞ্চল। গবেষকরা দেখেছেন, এ অঞ্চলের বনভূমিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ৬ হাজার ৯৫৮ প্রজাতির কাঠের গাছ রয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এসব প্রজাতির জৈবিক ও জেনেটিক গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও শুষ্ক বনভূমিগুলোর অধিকাংশই সংরক্ষিত নয়। গবেষকদের মতে, উষ্ণম-লীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুষ্ক বনভূমির গরম ও অনাবৃষ্টি সহ্য করার ক্ষমতাসম্পন্ন অন্যান্য ও বৈচিত্র্যময় প্রজাতিগুলোর প্রতি দৃষ্টি দেয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। গবেষক দলের প্রধান টবি পেনিংটন বলেন, দৃষ্টিনন্দন অনেক রেইনফরেস্টের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়ায় শুষ্ক বনভূমিগুলো অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, অন্তত লাতিন আমেরিকার প্রাক-বিজিত এলাকার শুষ্ক বনভূমিগুলো আগেই ধ্বংস হয়েছে। অথচ এটি সেই এলাকা (প্রাক-কলম্বিয়ান) যেখানে সভ্যতা শুরু হয়েছিল।’ অধ্যাপক পেনিংটন বলেন, শুষ্ক বনভূমি আমাজনের মতো নয়। আমাজন একটি বিশাল অখ- এলাকাজুড়ে অবস্থিত। অন্যদিকে শুষ্ক বনভূমি মেক্সিকো থেকে আর্জেন্টিনা পর্যন্ত রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনায় এর ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে।
×