ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রার্থী হচ্ছি না ॥ ও. কাদের

দুর্ঘটনা রোধসহ সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে পারিনি

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দুর্ঘটনা রোধসহ সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে পারিনি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় পাখির মতো মানুষ মরেছে বলে স্বীকার করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেপরোয়া ও অসংযতভাবে গাড়ি চালনার কারণেই এমনটি হয়েছে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সাফল্য দাবি করে মন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন ও সড়ক ব্যবস্থাপনা এবং পরিবহনে শৃঙ্খলা আনার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যর্থতা রয়েছে। এই ব্যর্থতার দায় তিনি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, এত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম আট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছিল। এবারের ঈদে (ঈদ-উল- আযহা) সেই সাফল্য ধরে রাখা যায়নি। সেতুমন্ত্রী স্বীকার করেন, বেপরোয়া ও অসংযতভাবে গাড়ি চালানো তারা বন্ধ করতে পারছেন না। মন্ত্রী জানান, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে মহাসড়কে ১৪২টি ব্ল্যাক স্পট উন্নয়নের কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ হবে বলে তাঁর আশা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সংবাদমাধ্যমে নাম আসার পর সভাপতিম-লীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি দলের জাতীয় সম্মেলনে কোন পদেই প্রার্থী নন। তিনি বলেন, আমাদের পার্টিতে কোন বিভেদ নেই। কে কি পেল তা নিয়ে মান অভিমান থাকতে পারে। এখানে নেত্রীর উপর আস্থা রয়েছে শতভাগ। আমরা সবাই তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা, যার মধ্য দিয়ে পরবর্তী তিন বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব ঠিক করবে ক্ষমতাসীন দল। কাদের বলেন, আমি আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। মাঝে মাঝে লজ্জাও পাই। সেটা হচ্ছে সম্মেলনকে সামনে রেখে নানা আলাপ আলোচনা আসে। পত্রিকায় ছবি বের হয়Ñ ওমুকের প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমি আওয়ামী লীগের কোন পদে প্রার্থী নই। আমি যেভাবে আছি নেত্রী যদি সেভাবেই রাখেন তাহলে আমি খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সপ্তমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে এবার সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বদলে অন্য কাউকে বেছে নেয়া হবে কি না সে সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। এসব প্রতিবেদনে নিজের নামও দেখার কথা জানিয়ে কাদের বলেন, আমি বিব্রত বোধ করি, পাশাপাশি কয়েকজনের ছবি প্রকাশ হয়, এর মধ্যে আমার ছবি। সত্য কথা বলতে কী এই ছবি দেখে অনেকে বলে ছবি এসেছে লিডার আমরা খুশি। আমার মনটা বিষণœœ হয়ে যায়। ওই রিপোর্টের কারণে কাগজটি পড়ি না। দলীয় সম্মেলনে এভাবে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে না দিতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, আমাদের পার্টি আমাদের নেত্রী যা চাইবেন, নেতা-কর্মীরা তাই চাইবে। এখানে কোন ভিন্নমত থাকবে না। নেত্রীর চাওয়ার বাইরে কিছু নেই। সড়কে শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে হতাশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ কথা শোনে। কিন্তু অসাধারণ বা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কথা শোনেন না। তাঁরা আইন মানতে চান না। ‘চলমান নির্বাচন পদ্ধতিতেই বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে যে পদ্ধতিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে সেই চলমান পদ্ধতিতেই বিএনপি পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে। মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে অপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কী কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে? মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে দেশী-বিদেশী কোন বাস্তবসম্মত চাপ সরকার অনুভব করছে না। অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
×