ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে যশোরে খুবি ছাত্রী

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে যশোরে খুবি ছাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ স্ত্রীর স্বীকৃতি ও মর্যাদার দাবিতে যশোরের মনিরামপুরে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মুসলিমা খাতুন। গত দু’দিন ধরে তিনি স্বামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাইসুল ইসলামের বাড়ি মনিরামপুরের চাকলা গ্রামে অবস্থান করছেন। মুসলিমা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খোর্দ্দ গ্রামের ইয়ার আলীর মেয়ে এবং রাইসুল মনিরামপুরের চাকলা গ্রামের আইয়ুব বিশ্বাসের ছেলে। স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর এই অবস্থান নিয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, চাকলা ও খোর্দ্দ গ্রাম দুটি দুই জেলার হলেও পাশাপাশিই অবস্থান এবং দুই গ্রামের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। এ কারণে রাইসুল ও মুসলিমা দুই জেলার বাসিন্দা হলেও তারা একই কলেজে লেখাপড়া করেছে। এরই সূত্র ধরে তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরই মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য রাইসুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং মুসলিমা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মুসলিমা দাবি করেন, ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি যশোরে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক এক লাখ টাকা দেনমোহরে তারা বিয়ে করেন। সে মোতাবেক তারা দু’জন প্রায় তিন বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাসও করেছেন। সম্প্রতি তাদের বিয়ের বিষয়টি রাইসুলের বাবা জানতে পারেন। কিন্তু মুসলিমার পরিবার দরিদ্র হওয়ায় রাইসুলের বাবা আইয়ুব বিশ্বাস ছেলের বিয়ে মেনে না নিয়ে উল্টো ছেলে-বউকে ত্যাগ করতে ছেলের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। মুসলিমা দাবি করেন, সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাইসুলের সঙ্গে তার কথা হয়। এ সময় ঈদে স্বামীর বাড়িতে আসতে চাইলে রাইসুল ফোন কেটে দেয়। এরপর থেকে রাইসুল স্ত্রী মুসলিমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মুসলিমা স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বামী রাইসুলের বাড়িতে অবস্থান নেন। এদিকে মুসলিমার আসার পর তাকে ওই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে প্রথমে মারপিট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পরে বিষয়টি চাউর হয়ে যাওয়ায় রাইসুল বাড়ি থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তার মা-বাবাও বাড়ি থেকে চলে গেছে।
×