ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে বেহাল সড়ক

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ময়মনসিংহে বেহাল সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ চলতি বর্ষায় বেহাল হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহে এলজিইডির সব সড়ক। মেরামত ও সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ অবকাঠামো। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ গ্রামের বাড়িতে আসার পথে এবং ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরার পথে দুই দফায় পদে পদে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। অথচ গত অর্থবছরে এসব সড়ক মেরামতে এলজিইডি ২৮ কোটি টাকা খরচ করে। এলজিইডির স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহে এলজিইডির এক হাজার ৭১৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে বর্ষায় অন্তত ২৫০ কিলোমিটার পাকা সড়ক একেবারেই বেহাল হয়ে পড়েছে। আর স্থানীয়দের দাবি রক্ষণাবেক্ষণ ও সময়মতো মেরামতের অভাবে বেহাল হয়ে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এলজিইডির সব সড়ক। বর্ষায় সড়কের কার্পেটিং ও সিলকোট উঠে ইট সুরকি বের হয়ে পড়েছে। সব সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দ। অনেক খানাখন্দে হাঁটু সমান পানি জমে কাদাজলে একাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে। মালবাহী কিংবা যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করার সময় এসব খান্দাখন্দে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। ধোবাউড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিম্নমানের দায়সারা কাজের কারণেই ছয় মাস না যেতেই বেহাল হয়ে যাচ্ছে সড়ক। ধোবাউড়া থেকে ময়মনসিংহ সদরে আসার এক ঘণ্টার জায়াগায় এখন সময় লাগছে ৪-৫ ঘণ্টা। ধোবাউড়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমান ও দায়সারা এ কাজের সঙ্গে এলজিইডির কর্মকর্তারাও জড়িত। ময়মনসিংহ সদরের বোররচর সড়কের শম্ভুগঞ্জ পশ্চিমবাজার জামে মসজিদের জায়গার অন্তত ১০০ মিটারজুড়ে গত ছয় মাস ধরে বড় বড় গর্তে হাঁটু সমান পানি জমে থাকায় এই পথে যানবাহন চলাচলই এখন দায়। ব্যস্ততম এ মোড়ে প্রতিনিয়ত যানবাহন বিকল হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ফুলপুর, সদর, ত্রিশাল, মুক্তাগাছা, গফরগাঁও, ভালুকা, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জসহ এলজিইডির সব গ্রামীণ সড়কেরই এমন বেহাল অবস্থা। এসব নিয়ে এলজিইডির স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন জানান, ভাঙ্গাচোরা এসব সড়ক মেরামতে ইতোমধ্যে ১৮ কোটি টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আগামী নবেম্বর মাসে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। অপ্রতুল বরাদ্দের এ টাকায় মাত্র ৫০ কিলোমিটার সড়ক মেরামত করা যাবে বলে জানা গেছে।
×