ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মির্জাপুরের ৪৪ পরিবার

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মির্জাপুরের ৪৪ পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা মির্জাপুর থেকে জানান, ঈদের আনন্দ নেই মির্জাপুর উপজেলার ৪৪ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরীর পরিবারে। গত ১৭ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় তাদের এ অবস্থা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মির্জাপুর উপজেলার ১১৩ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৩ সাল থেকে তিন ধাপে দফতরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়। এদের মধ্যে শেষ ধাপে ২০১৫ সালে নিয়োগ পাওয়া ৪৪ জন দফতরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ লাভের পর থেকে গত ১৭ মাসের বেতন ও চার ঈদের বোনাস আজ পর্যন্ত পাননি। ফলে তারা চরম মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। জানা গেছে, নাটোর সদর উপজেলার কাপুরিয়া ইউনিয়নের লোটাবাড়ি গ্রামের মশিউর মোল্লা নামে এক ব্যক্তি নিয়োগের নীতিমালার বিরুদ্ধে গত বছরের ১৩ এপ্রিল উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন। এর আগে এপ্রিলের শুরুতেই তৃতীয় ধাপে দফতরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ শেষ হয়। উচ্চ আদালতে রিট চলার কারণে চাকরি জীবনের শুরু থেকেই মির্জাপুর উপজেলার ৪৪ জনসহ সারাদেশে শেষ ধাপে নিয়োগপ্রাপ্তরা আজ পর্যন্ত বেতন পাননি বলে জানা গেছে। মির্জাপুরের হিলড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরী নাছির উদ্দিন জানান, চাকরি নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা বেতন-ভাতা পাননি। ফলে তাদের খুবই কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। সামনের ঈদের আনন্দও নেই তাদের পরিবারে। মির্জাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। যশোরে ৫ হাজার পরিবার স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, ভবদহ অঞ্চলের স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে মনিরামপুরের বন্যাকবলিত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া ৫ হাজার পরিবারের মানুষের বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে এসব জলাবদ্ধ মানুষের ঈদ কাটবে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ও রাস্তায়। এসব অঞ্চলের ঈদের নামাজও পড়তে হবে রাস্তা বা সম্ভাব্য কোন উঁচু জায়গায়। কপোতাক্ষ, হরিহর, মুক্তেশ্বরী, টেকা ও শ্রী-হরি নদীর উজানের পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও ভবদহের জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্যামকুড়, মশ্মিমনগর, হরিহরনগর, হরিদাসকাটি, কুলটিয়া ও মনোহরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী। এদের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার ৪শ’ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তার দু’ধারে, সম্ভাব্য উঁচু স্থানে, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত একমাস ধরে পানিবন্দী এই মানুষগুলো ঘরবাড়ি ছাড়া হলেও ঈদের আগে তাদের বাড়ি ফেরার কোন সম্ভাবনা নেই। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় বা আশ্রয় কেন্দ্রে কাটবে ৫ হাজার পরিবারের মানুষের ঈদ। শ্যামকুড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া রোজিনা বেগম জানান, গত একমাস ধরে পরিবারের ৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছেন। চারদিক ডুবে গেছে, কাজকাম নেই, যা ত্রাণ পাচ্ছেন তাই দিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো খাচ্ছেন। তাদের আবার ঈদ। একই অভিব্যক্তি জানালেন যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ফকির রাস্তা এলাকায় আশ্রয় নেয়া গৃহবধূ আফরোজা খাতুন।
×