ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বলিউডে আনন্দ-উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বলিউডে আনন্দ-উৎসব

সব্যসাচী দাশ বলিউডে দুর্গাপূজা, দিওয়ালি বা বড় দিনের মতো পবিত্র ঈদ-উল-আযহাও পালিত হয় বেশ ঘটা করে। জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব পালনে বলিউড সব সময় এগিয়ে। তবে ঈদ পালনে বাড়তি উত্তেজনা বরাবরই। কারণটা স্পষ্ট। যে ক’জন সুপার স্টার বলিউডের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের নামের শেষে খান। না বললেও বোঝা যায় এই খানদের পরিচয়। এদের মধ্যে কেউ বলিউড বাদশা, কেউ পারফেকেশনিস্ট, কেউ ভাইজান, কেউবা আবার বলিউড নবাব। এদের প্রভাব প্রতিপত্তি বলিউডে একরকম একচেটিয়া। সুপার হিরোইন কারিনা কাপুর খান, সোয়া আলী খান, কিংবা নার্গিস ফাকরির মতো হাটথ্রবদের প্রভাবও ব্যাপক। প্রতিটি উৎসব উপলক্ষে এই স্টারদের নিয়ে নির্মিত হয় পর্দা কাঁপানো ছবি। তবে ঈদে পর্দা কাঁপাতে বরাবরই দেখা গিয়েছে বলিউড ভাইজানকে। ঈদের বিশেষ সিনেমা ছাড়াও প্রিয় তারকাদের হাঁড়িরখবর জানতে ভক্তরা উন্মুখ হয়ে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনায় তারা উদযাপন করে ঈদ। মি. পারফেকশনিস্ট ব্যক্তিগত জীবনে আমির খান পরিবারকেন্দ্রিক। পেশাগত কাজের বাইরে যে সময় তিনি পান সবটাই তার পরিবারের জন্য। দেশে থাকলে ঈদের দিন নামাজ পড়ে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সম্পর্ক বা বন্ধুত্বের ব্যাপারে আমির বরাবরই সচেতন। যে কারণে তার বন্ধুর সংখ্যা কম। ঈদের দিন পরিবার ও সীমিত বন্ধুদের নিয়ে একান্ত সময় কাটাতেই আমিরের বেশি পছন্দ। বেশিরভাগ ঈদ উৎসবে এমনটাই করে আসছেন তিনি। প্রিয় ভাগ্নে ইমরান খানের ঈদ মানেই মামার সঙ্গে পারিবারিক সময় কাটানো। ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজকর্মে গোপনীয়তা আমিরের বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বলা যেতে পারে। কিং খান জীবনযাপন বা চালচলনে শাহরুখ খান অন্যদের তুলনায় জনমুখী। ভক্ত, সহকর্মী বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বলিউড বাদশার ঘনিষ্ঠতা সব সময় চোখে পড়ার মতো। প্রায় ঈদে দেশেই থাকেন। প্রয়োজনে কখনও কখনও কাজের সিডিউল বদলান। পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী এবং অসংখ্য ভক্তদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। ঈদ উপলক্ষে তারার হাট বসে তার রাজকীয় প্যালেস মান্নাতে। সকলে জামাতে ঈদের নামাজ পড়ে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে শুরু ।আর দিন শেষ করেন ছেলেমেয়ে আর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটান। বলিউড ভাইজান পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় দায়িত্ব তার বেশি। বাবা সেলিম খান সব ব্যাপারে সালমানকে গুরুত্ব দেন। পরিবারে বাবার পরে সালমানের ভূমিকা অভিভাবকের। দুই ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খানের ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার জীবনে বড় ভাইয়ের ভূমিকা অনেক। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর বা ঈদ-উল-আযহার মতো ধর্মীয় উৎসবে সালমানের বাবার ইচ্ছা, সন্তান নাতী, নাতনী নিয়ে ঈদ উদযাপন করা। খান পরিবারের পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখতে সালমানের ভূমিকা অনেক। ঈদের নামাজ পড়ে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ভাইপো, ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সঙ্গে হৈ-হুল্লড়ে সময় কাটান এই বলিউড সুপারস্টার। সালমাদের বাড়ির বিরিয়ানির সুনাম বেশ! ঈদ উপলক্ষে এক সময় নিয়মিত শাহরুখের বাড়িতে যেত এই সুস্বাদু বিরিয়ানি । ছোট নবাব বলিউডের নবাব সাইফ আলী খান। নবাববাড়ির ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব এখন তার। ঈদ উপলক্ষে নবাববাড়িতে আয়োজন করা হয় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের। বেশিরভাগ ঈদেই পরিবারে সঙ্গে থাকেন এবং গুরু দায়িত্ব পালন করেন পতৌদির নবাব। পারিবারিক অনুষ্ঠান, ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, ভগ্নি সোহা ও ভগ্নিপতি কুনালের উপস্থিতি। সব মিলিয়ে এক রকম ব্যস্ততার মধ্যেই পার করেন ঈদের উৎসব। নবাব পতœী নবাব পতœী কারিনা কাপুর খান। বলিউডের সুপার হিরোইন হিসেবে পরিচিত। পিতৃকুলে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কিছু না করলেও নবাব বাড়ির বউ হওয়ার সুবাদে ঈদের সব অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি থাকবেই। ইতোমধ্যে সবাই জেনেছে আগামী ডিসেম্বরে তিনি মা হতে চলেছেন। সে জন্যই বর্তমানে তার সব ব্যাপারে অতি সাবধানতা। নার্গিস ফাকরি পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত আমেরিকান মডেল এবং বলিউড হার্টথ্রব নার্গিস ফাকরি কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে ভারত ছেড়েছেন। অবশ্য ভারতে থাকা অবস্থায় ধর্র্মীয় উৎসব পালনে তাকে তেমন স্বতঃস্ফূর্ত দেখা যায়নি। ঈদ উপলক্ষে ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে সময় কাটানো, বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া, ভক্তদের ফেসবুক কিংবা টুইটারে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো, এসবে মধ্যে দিয়ে উৎসব পালন করেন এই সুপারস্টার।
×