ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতার মাধ্যমেই জাতিকে রক্ষা সম্ভব ॥ দীপু মনি

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতার মাধ্যমেই জাতিকে রক্ষা সম্ভব ॥ দীপু মনি

জনগণকে জঙ্গীবাদ সম্পর্কে সচেতন করার মাধ্যমেই এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ দীপু মনি। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের সব জায়গাতেই জঙ্গীদের ভয়াবহতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা সফল। এখন গণমাধ্যমগুলোতে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জঙ্গীবাদ নিরসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও অনলাইন পত্রিকা ‘আমাদের অধিকারপত্র’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডাঃ আবু ইউসুফ ফকির, এবি গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ও হাফেজ মাওলানা মোজাম্মেল হোসেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমাদের অধিকারপত্র ডটকম অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পলাশ। ডাঃ দীপু মনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেকের কাছেই ঈর্ষণীয়। দেশের বাইরে-ভেতরে জঙ্গীবাদ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে দেশের ভেতরে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল তারাই একের পর এক জঙ্গীবাদের নামে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তাদের উদ্দেশ্য, কর্মকা- সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। একমাত্র গণমাধ্যমই পারে দ্রুত সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ নিরসন করার ক্ষেত্রে আমাদের পরস্পর সম্পর্কে জানা আবশ্যক। কারণ জঙ্গীরা এখন এক জায়গায় দীর্ঘদিন অবস্থান করে সেখানকার মানুষের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ তৈরি করে। পরবর্তীতে তারা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে। ফলে বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী সম্পর্কে জানাও জঙ্গীবাদ থেকে মুক্ত থাকার একটি পথ। আলোচনা সভায় ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, জঙ্গীরা এখন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমকে বিজ্ঞাপনচিত্র হিসেবে নিয়েছে। মিডিয়া না আসা পর্যন্ত বোমা ফাটছে না, ককটেল নিক্ষেপ হচ্ছে না। ফলে মিডিয়াকেও এখানে আরও সচেতন হতে হবে। কোন খবরটি দেশের জন্য ভাল আর কোন খবরটি দেশের জন্য ক্ষতিকর, তা নির্ধারণ করেই প্রচারের ব্যবস্থা করা উচিত। জঙ্গীবাদের বিজ্ঞাপনচিত্র থেকে বেরিয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা জরুরী। তবে গণমাধ্যম জঙ্গীবাদ নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারবে। ডাঃ আবু ইউসুফ ফকির বলেন, এখন আমাদের সন্তানদের সঙ্গে আগের মতো সুসম্পর্ক নেই। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে সেদিকে আমাদের নজর খুবই কম থাকে। লেখাপড়া ছাড়া অন্যদিকে সন্তানদের নিয়ে আমাদের ভাবনার সময় খুব কম থাকে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সন্তানদের কর্মকা- সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। বাবা-মার অবশ্যই উচিত সন্তানদের ভাল কাজগুলোর প্রশংসা করা, খারাপ কাজগুলো থেকে যেন দূরে থাকে সেদিকে নজর দেয়া। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে জঙ্গী সম্পৃক্ততা যে কয়টি ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে তার প্রায় সবটিতে সন্তানরা ঘরছাড়া কিংবা হারিয়ে গেছে। তাদেরকে এর নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে জানাতে হবে। আর এটি করতে পারে একমাত্র গণমাধ্যম। -বিজ্ঞপ্তি
×