ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২০ আগস্ট ২০১৬

টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ সড়কের বেহাল দশা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ সড়কের এখন বেহাল দশা। খানা খন্দক ও বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে প্রতিটি সড়ক জুড়েই। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রাস্তায় চলাচল করা মানুষ ও গাড়ি চালকদের। দুরবস্থার কথা স্বীকার করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই রাস্তা নির্মাণ করা হবে বলে জানালেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। বর্ষা আসলেই বন্দরনগরীর বেশিরভাগ প্রধান সড়কে ইট, সুরকি উঠে খানা-খন্দক, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ষোল শহর, বহদ্দারহাট, কাতালগঞ্জ, ইপিজেড এলাকা, কাপ্তাই রাস্তার মাথাসহ নগরীর বেশির ভাগ প্রধান সড়কের এখন বেহাল দশা। এতে করে রাস্তায় চলাচল করা মানুষজনকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সে সঙ্গে রাস্তায় যানবাহন চলাচল অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে নিম্ন মানের কাঁচামাল দিয়ে সড়ক সংস্কার, ঠিকাদার ও জনপ্রতিনিধিদের গাফলতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ মানুষের। পরিকল্পিতভাবে রাস্তাগুলো নির্মাণ না করা ও সিটি কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অনেকটা দায়সারাভাবে কাজ করার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। রাস্তার ওপর পানি জমে থাকা বন্ধ করা না গেলে এ সমস্যার কোনভাবেই সমাধান সম্ভব নয় বলে জানান নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ৯শ’ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৫০ থেকে ২শ’ কিলোমিটার সড়কের পিচ উঠে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে রোগী কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না। হাসপাতাল চালুর পর থেকেই আইসিইউ বন্ধ রয়েছে। ক্যাজুয়ালটি বিভাগটি চালু থাকলেও নেই নির্দিষ্ট কোন ডাক্তার, নার্স। হাসপাতালের পরিচালক এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে দ্রুতই তা সমাধানের আশ্বাস দিলেন। বগুড়াসহ আশপাশের জেলার মানুষের উন্নত সেবার জন্য ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে শহরের ছিলিমপুরে চালু হয় ৫শ’ শয্যার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। শুরু থেকেই হাসপাতালের সব বিভাগ চালুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি এ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগ। ক্যাজুয়ালটি বিভাগ চালু থাকলেও এখানে নিয়োগ দেয়া হয়নি ডাক্তার-নার্সসহ অন্যান্য স্টাফ। একজন সার্জন ও অন্য বিভাগ থেকে কয়েকজন নার্স এনে কোন রকমে চালু রাখা হয়েছে বিভাগটি। শুধু সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই না থাকায় আইসিইউ বিভাগ এখনও চালু করা যাচ্ছে না। এ বিভাগের অনেক যন্ত্রপাতিই এখন নষ্টের পথে। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফ জনবল স্বল্পতার কারণে রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরা। চিকিৎসকসহ জনবল সঙ্কট এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকার কথা স্বীকার করে অচিরেই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে জানালেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান। বর্তমানে হাসপাতালে ১৯৪ ডাক্তারের মধ্যে নেই ৯১ জন। নার্স নেই ৪০৮ জনের মধ্যে ১১৪ জন। বগুড়াসহ জয়পুরহাট, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধা থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় সহস্রাধিক রোগী এখানে উন্নত চিকিৎসা নিতে আসেন।
×