ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ১১ আগস্ট ২০১৬

সাত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রায় ৪ হাজার ২শ’ কোটি টাকার জ্বালানি তেল আমদানিসহ মোট ৭টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সরকারী পর্যায়ে ৬০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার ক্রয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন প্রান্তিকের জন্য তিন ধরনের প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করছে সরকার। এতে আনুমানিক ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশী টাকায় এর পরিমাণ হচ্ছে ৪ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। জি টু জি পর্যায়ে ৯টি দেশের ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে এ জ্বালানি তেল আমদানি করবে ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন’ (বিপিসি)। বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিন ধরনের মোট ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৯০৪ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এর মধ্যে ডিজেলের (গ্যাস অয়েল) পরিমাণ হচ্ছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ১১১ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েল (জেট-এ-১) ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০৪ মেট্রিক টন ও ৬৫ হাজার ৯৮৯ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল রয়েছে। তিনি জানান, বৈঠকে মূলত ব্যারেল প্রতি জ্বালানি তেলের প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস অয়েলের প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ব্যারেল ৪ দশমিক ৪০ ডলার, জেট-এ-১-এর প্রিমিয়াম হচ্ছে প্রতি ব্যারেল ৫ দশমিক ৪০ ডলার ও ফার্নেস অয়েলের প্রিমিয়াম টন প্রতি ২৪ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে জ্বালানি তেল ক্রয়সহ মোট ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সরকারী পর্যায়ে ৬০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার ক্রয়ের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ার ফরেন ইকোনমিক এ্যাসোসিয়েশন ‘প্রোডিনটর্গ’ থেকে প্রথম লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ২৩০ দশমিক ৩৭ ডলার। অবশিষ্ট ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করা হবে কানাডা থেকে। এতে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ২৩০ দশমিক ৩৮ ডলার।
×