ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের প্রতিবেদন

শ্যামল কান্তিকে হেনস্থার সঙ্গে সেলিম ওসমান জড়িত নয়

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ৫ আগস্ট ২০১৬

 শ্যামল কান্তিকে হেনস্থার সঙ্গে সেলিম ওসমান জড়িত নয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের কক্সবাজার এলাকায় শতবর্ষী মুন্সী পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পুকুরটির ভেতরে কোন অংশ ভরাট, বন্ধ ও কোন স্থাপনা থাকলে তা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তির কান ধরার ঘটনায় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই বলে প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে হাতে লেখা এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)। তবে তা এফিডেভিট (সত্যায়িত) আকারে জমা দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে বলেছেন এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়। অন্যদিকে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের এক আইনজীবী। কক্সবাজার এলাকায় শতবর্ষী মুন্সী পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মানবাধিকার সংগঠনের করা এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মোঃ রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় দেয়। পুলিশ সুপারের রিপোর্ট ॥ নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তির কান ধরার ঘটনায় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই বলে প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে হাতে লেখা এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)। তবে তা এফিডেভিট (সত্যায়িত) আকারে জমা দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে বলেছেন এ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়। ডেপুর্টি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ৯ জুন শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৭ আগস্ট মামলার পরবর্তী আদেশ ও শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত। নির্দেশ অনুযায়ী ৪ আগস্টের মধ্যে এফিডেফিট আকারে আদালতে দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তারা হাতে লেখা একটি প্রতিবেদন এ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেন। পরে তা আগামী রবিবারের মধ্যে এফিডেভিট আকারে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়। লিগ্যাল নোটিস ॥ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের বৈধতার প্রশ্নে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের এক আইনজীবী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নোটিস পাঠিয়েছেন। নোটিসে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত আকারে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায়, সংবিধানের ১০২ ধারায় রিট আবেদন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। নোটিসে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের পদটি মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। নোটিসটি রাষ্ট্রপতির সচিব, সংসদ বিষয়ক সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও চেয়ারম্যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বরাবর পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যান বা সদস্য নিয়োগের জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। সেক্ষেত্রে রিয়াজুল হক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে সর্বক্ষণিক কর্মরত ছিলেন। একই ব্যক্তি দুই মেয়াদের অধিকবার নিয়োগ লাভ করতে পারবেন না।
×