ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি ॥ সন্তানের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৫ জুলাই ২০১৬

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি ॥ সন্তানের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথিতে অনাগত সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে সিরাজদিখান উপজেলার দক্ষিণ তাজপুর গ্রামে। তবে স্ত্রী আসমা বেগম (৩০) বেঁচে গেলেও বেশ অসুস্থ। যশোরের সাজিয়ালী যৌতুকলোভী সোহেল রানা তার ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আসমার ওপর এই নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। এ ঘটনায় আসমা বেগম, তার মা লুৎফা বেগম ও ভাতিজি মুন্নী আক্তার সিরাজদিখান থানায় রবিবার লিখিত অভিযোগ করতে আসে। তবে ঘটনাস্থল অন্যত্র হওয়ায় সিরাজদিখান থানা পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি। ভুক্তভোগীরা জানান, ঘটনার পর থেকেই নিজের মোবাইল ফোন রিসিভ করছেন না ঘাতক স্বামী সোহেল রানা। শনিবার রাত একটার সময় ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতালে মৃত সন্তান প্রসব করে আসমা। রবিবার সকালে তার আত্মীয়স্বজনরা মৃত শিশুটিকে সিরাজদিখান থানায় নিয়ে এলে সিরাজদিখান থানা পুলিশ যশোরের কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করতে বলেন। আসমার মা লুৎফা বেগম বলেন, দুবাই থেকে এক বছর প্রেম করার পরে বাংলাদেশে এসে ২০১৩ সালে আমার মেয়ে আসমার সঙ্গে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার সাজিয়ালী গ্রামের মৃত সফিকুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য আসমাকে নির্যাতন করত সোহেল। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বেশ ক’বার যৌতুকের টাকা ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২ লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপরও গত ২০ জুলাই বুধবার সকালে যৌতুকের জন্য পুনরায় আসমাকে মারধর শুরু করে সোহেল। এক পর্যায়ে ১০ মাসের গর্ভবতী আসমাকে পেটে লাথি মারে সে। এতে রক্তক্ষরণ শুরু হয় আসমার। ঘটনার পর স্বামীর বাড়ি যশোর থেকে পলিয়ে সিরাজদিখানে বাবার বাড়ি আসে আসমা। গুরুতর আহত অবস্থায় আসমাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসা করা হলে অবশেষে ঘটনার চারদিনের মাথায় মৃত সন্তান জন্ম দেয় আসমা।
×