প্রায় হঠাৎ ও অপ্রত্যাশিতভাবেই কনজারভেটিভ পার্টি একজন নতুন নেতা এবং ব্রিটেন এক নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গণভোট যদি সাম্প্রতিক সবচেয়ে দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক প্রচারের উৎস হয়ে থাকে তাহলে, ব্রেক্সিট ভোট কারও ধারণার চেয়েও দ্রুত টোরি নেতৃত্বের দৌড়ের অবসান করেছে। গত কয়েকদিনের নাটকীয় ঘটনায় অভ্যস্ত হলেও সোমবার এ্যাড্রিয়া লিডসমের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা এক ধরনের ধাক্কাই ছিল। যা হোক লিডসম সরে দাঁড়িয়ে সঠিক কাজই করেছেন। কারণ নেতৃত্ব নিয়ে দুই মাসের লড়াইয়ের চেয়ে ব্রিটেনের দ্রুত নিশ্চয়তা প্রয়োজন।
এদিকে যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শাসনামলের ১৩তম প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তেরেসা মে। তিনি নিজেকে একজন কঠোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে তিনি পার্লামেন্ট সহকর্মীদের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছেন। তিনি স্পষ্টতই সুযোগ ও জাতির সদিচ্ছা পাওয়ার যোগ্য। তাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, নেতৃত্বের দৌড়ের মসৃণ মীমাংসা নিয়ে অনেকেই যেমন তার প্রতি কৃতজ্ঞ, তেমনি কনজারভেটিভ পার্টি ও তার বাইরেও আরও অনেকে তেরেসার ব্রেক্সিট সফল করার ইচ্ছা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করবেন। তারা বিরক্তও যে, এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কয়েক মাস ধরে চলা প্রচারে তেরেসার পরিষ্কার কোন অবস্থান তারা দেখতে পায়নি। তেরেসা ব্রিটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে সমর্থন জানালেও প্রচারের বাইরেই থেকেছেন। তিনিই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, এ কথা জানার পর তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাইরে প্রথম বক্তব্য রাখেন। তিনি তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন : ব্রেক্সিট সফল করা, যুক্তরাজ্যের ঐক্যবদ্ধ নিশ্চিত করা এবং এমন একটি রাজনীতি ও অর্থনীতি নিশ্চিত করা, যা শুধু কিছু লোককে সুবিধা দেনে না। ভাষণে তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন এবং তাকে সমর্থন জানানো টরি নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। -ইয়াহু নিউজ
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: