ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে জঙ্গী সংগঠন ও তার সদস্য সংখ্যা কত?

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৩ জুলাই ২০১৬

দেশে জঙ্গী সংগঠন ও তার সদস্য সংখ্যা কত?

মোয়াজ্জেমুল হক/হাসান নাসির ॥ দেশে জঙ্গী সংগঠনের সংখ্যা কত। এসব সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সদস্যদের সংখ্যা কত। আবার এরমধ্যে প্রশিক্ষিত ও সুইসাইডাল স্কোয়াডের সদস্য সংখ্যা কি পরিমাণ। এদের সহিংস তৎপরতা নিয়ে আগাম কোন তথ্য দিতে গোয়েন্দাদের শক্তি সামর্থ্য ও কারিগরি সহযোগীদের দিকটি কী পরিমাণ এগিয়েছে। এসব নিয়ে অজস্র প্রশ্ন, জল্পনা-কল্পনা প্রায় সকল মহলেই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। এরপরও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বহু জঙ্গী ও সন্ত্রাসী যেমন ধরা পড়েছে তেমনি আবিষ্কৃত হয়েছে এদের আস্তানা, অস্ত্র প্রশিক্ষণের কেন্দ্র। উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক সমঞ্জামাদি। নতুন তথ্য হচ্ছে-জঙ্গীদের এবারের টার্গেট নাকি পুলিশ ও সাংবাদিক। কারণ, পুলিশ তাদের দমনে ব্যস্ত আর মিডিয়া কর্মীরা তাদের বিরুদ্ধে লেখনিতে ব্যাপক তৎপর। বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হচ্ছে, দেশে জঙ্গী তৎপরতার বিস্তৃতি ঘটেছে। এ কথা অস্বীকার করার কোন জো নেই। বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলে এরা মদদ পেয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন হওয়ার পর সরকারী নীতি ও মনোভাব জঙ্গীবিরোধী হওয়ায় এদের তৎপরতা ধীরে ধীরে গোপনে চলে যেতে শুরু করে। গোপনে গিয়ে এরা তাদের সদস্য সংগ্রহ ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। এর জের হিসেবে এরা এখন হিংস্র ছোবল মারতে শুরু করেছে। সর্বশেষ গুলশান ট্র্যাজেডি ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার উদ্বেগজনক ঘটনা এর প্রমাণ। আরও পরে চট্টগ্রামের সীতাকু-ে ধরা পড়েছে ৪ জঙ্গী। যাদের মধ্যে রয়েছে ধর্মান্তরিত এক মুসলিম যুবক। দেশে জঙ্গীদের সংখ্যা কত সরকারীভাবে এর কোন পরিসংখ্যান নেই। সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভবও নয়। তবে বেসরকারী পর্যায়ের হিসাব নিয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, বর্তমানে দেশে একাধিক জঙ্গী সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এদের সদস্য, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থকদের সংখ্যা অর্ধ লক্ষাধিক। যাদের মধ্যে হিজবুত তাহ্রির সদস্য সবচেয়ে বেশি এবং এদের সকলেই শিক্ষিত এমনকি উচ্চ শিক্ষিত। প্রযুক্তিগত জ্ঞানের দিক থেকেও এরা সর্বাগ্রে। প্রচারের জন্য তাদের রয়েছে নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও প্রিন্টিং মেশিনারিজ। বছরখানেক আগেও প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে হিযবুত তাহ্রির সদস্যদের লিফলেট বিতরণে তৎপর দেখা গেছে। আর পোস্টার লাগানোর কার্যক্রম চলেছে হরদম। দেশের সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ হিযবুত তাহ্রির কর্মকা-ে জড়িত। বাংলাদেশ থেকে কি পরিমাণ যুবক আইএসের যোদ্ধা হতে সিরিয়া গেছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মত এ সংখ্যা ২ শতাধিক। এদের অধিকাংশ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া পৌঁছাচ্ছে। এ ধরনের কয়েক যুবকের ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিতও হয়েছে। এক শিল্পপতির মেয়ের ছেলেকে সিরিয়া যাওয়ার পথে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার তথ্যও দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ ধরনের আরও বহু যুবক এ রুটে রয়েছে এবং অনেকে সিরিয়া পৌঁছে যুদ্ধে শরিক হয়েছে। আইএসের কর্মকা- নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা বিতর্ক থাকলেও ধর্মান্ধ ও মগজ ধোলাই করা একশ্রেণীর যুবক জীবনবাজি রেখে পরিবার পরিজনকে না জানিয়ে সর্বনাশা এ পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে ইতোমধ্যে সরকার বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যদিও এ সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ণয় হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দেশে বর্তমানে কটি জঙ্গীসংগঠন রয়েছে। সরকারী তালিকায় এ সংখ্যা একেবারেই স্বল্প। তবে গেল জুন মাসে চট্টগ্রামে একজন এসপিপতœী হত্যাকা-ের পর পুলিশ প্রধান একেএম শহীদুল হক চট্টগ্রাম সফরে এসে বলেছিলেন, এখন জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম যা বর্তমানে আনসার আল ইসলাম নামে চিহ্নিতÑ এরাই তৎপর। অন্যান্য জঙ্গী সংগঠনগুলো শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বেসরকারী সূত্রগুলোর মতে, জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (পৃথিবী জুড়ে যেটি ৪ নম্বর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত), হিযবুত তাহ্রির, হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি), হামজা ব্রিগেড এবং হেফাজত তো রয়েছেই। এরইমধ্যে আরও বিভিন্ন নামে জঙ্গী সংগঠনের বিস্তৃতি ঘটেছে। গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তঁরায় হামলার সঙ্গে জেএমবি জড়িতÑএটা সরকারীসহ প্রায় সকল সংস্থার বক্তব্য। কিন্তু সেখান থেকে আলামতের সঙ্গে যে একটি রুমাল উদ্ধার হয়েছে, তাতে লেখাÑদাওয়াতুল ইসলাম বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের নাম। দেশে এ ধরনের আরও বহু নামে জঙ্গীদের কর্মকা-ের বিস্তৃতি ঘটেছে। অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ অবারিত থাকায় এসব সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সক্রিয় তৎপরতা প্রতীয়মান। তবে এদের গোড়া একসূত্রে গাঁথা। আল কায়দা, তালেবান, আইএস, বোকো হারাম, আল শাবাব-আরও কত নামে জঙ্গী তৎপরতা রয়েছে তা হিসেব করে সুনির্দিষ্টভাবে বলা কঠিন। বিশ্বজুড়ে যে সন্ত্রাসী কর্মকা- ইসলামী ব্যানারে চলছে এরা তাদেরই সমর্থক। অর্থ ও অস্ত্রের যোগান দেশীয় জঙ্গী সংগঠনগুলোর কাছে আসছে এদের মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সীমান্ত পথে আসছে অস্ত্রের চালান। আর হুন্ডি ও অবৈধ ব্যাংকিং তৎপরতায় আসছে কাড়ি কাড়ি অর্থ। দেশের সবকটি জেলা শহরে এদের গোপন আস্তানা গড়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, জনবহুল এলাকার ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়েও এরা অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ করছে। দেশীয় অস্ত্র, ককটেলসহ বোমা তৈরি করছে। দুর্গম পাহাড় আর চরাঞ্চলে চলছে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আসছে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান। একে-৪৭ রাইফেল থেকে রকেট লাঞ্চার, পিস্তল, রিভলবার, একে-২২, গ্রেনেডসহ ভারি অস্ত্রের যোগান চলে আসছে। মিয়ানমার ও ভারতে যেসব বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন রয়েছে তারাই মূলত এসবের সরবরাহকারী। এছাড়া দেশে তৈরি অস্ত্র ও ধারালো তলোয়ার চাপাতির কোন অভাব নেই। জঙ্গীদের যেসব সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে জেলে গেছে এদের একটি অংশ ইতোমধ্যে জামিন পেয়ে বেরিয়ে এসেছে। বেরিয়ে আসার এরা আবারও জঙ্গী তৎপরতায় লিপ্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া জেলে থেকে জঙ্গী নেতারা গোপন পথে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে জঙ্গী তৎপরতার যে উত্থান পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে সরকার পক্ষে আরও কঠোর হওয়ার ঘোষণা ইতোমধ্যে এসেছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। বলেছেন, যে পরিমাণ কঠোর হতে হয় সরকার সে পরিমাণ কঠোর হবে। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো জঙ্গীদের তৎপরতা দমনে বাংলাদেশের পাশে থাকার পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে, যা এ দেশের পক্ষে বড় ধরনের ইতিবাচক দিক। এ ঘটনা সচেতন মহলকে আশ্বস্ত করেছে। বাংলাদেশ আয়তনে ছোট জনসংখ্যায় বড়। এরপরও প্রায় অনেকেই অনেকের কাছে চেনা। তাই কারও না কারও কাছে জানা হয়ে যায়। এমনকি গোপন তৎপরতাও অজানা থাকে না। তাই সর্বনাশা জঙ্গী তৎপরতা দমনে এবং এদের সমূলে নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কঠিন কোন কাজ হবে না বলে মত ব্যক্ত করা হচ্ছে সচেতন মহলকে। দেশে জঙ্গী নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি এখন আর ধামাচাপা দিয়ে রাখার বিষয় নয়। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি লোমহর্ষক ঘটনার মধ্য দিয়ে জঙ্গীরা জানান দেয়ার চেষ্টা করেছে যে, ইতোমধ্যেই তারা সংগঠিত একটি শক্তিতে পরিণত হয়েছে। দেশে আইএস আছে কি নেই সে বিতর্কের অবসান না হলেও ঘটনা কিন্তু ঘটেই চলেছে। সরকার ও পুলিশ প্রশাসন শেষমুহূর্তে জঙ্গী দমনে তৎপর হয়েছে বটে, তবে এরমধ্যে পানি গড়িয়েছে অনেক দূর। গোপনে সংগঠিত এই অপশক্তি যেন রাষ্ট্রযন্ত্রকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকটি জঙ্গী সংগঠনের নাম শোনা গেলেও এ ধরনের কতটি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। পাওয়া যাচ্ছে একের পর এক নতুন সংগঠনের নাম। তবে নামে ভিন্ন হলেও আদর্শিকভাবে এ সংগঠনগুলো একই এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে বলে মনে করছে জঙ্গী নিয়ে কাজ করা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। জঙ্গীগোষ্ঠী এদেশে প্রথম তাদের সাংগঠনিক শক্তির জানান দিয়েছিল ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একসঙ্গে ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে। সেদিন তারা বিস্ফোরণ স্থলে কিছু লিফলেটও রেখে যায়। এর মাধ্যমে প্রথমে যে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে তার নাম জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদশে ( জেএমবি)। ঘটনা শুধু সিরিজ বোমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, তারা বোমা হামলা চালায় আদালত অঙ্গন, সিনেমা হল, জনসভাস্থলসহ বিভিন্ন স্থানে। বোমা হামলায় নিহত হন একাধিক বিচারকও। এর আগেও উদীচীর অনুষ্ঠান ও সিপিবির সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ঘটে পৈশাচিক হত্যাকা-। এরপর একে একে ঘটতে থাকে টার্গেট কিলিং। গ্রেনেডে প্রাণ দিতে হয় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়া ও গাজীপুরের সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারকে। অনেকগুলো ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এতে তিনি সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে রক্ষা পেলেও প্রাণ হারান আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহতদের সংখ্যা অগণিত। এছাড়া নির্মমভাবে খুন হয়েছেন মুক্তমনা লেখক ও বিজ্ঞানমনষ্ক কয়েকজন ব্লগার। এক দশক আগে জঙ্গী সংগঠন হিসেবে শুধুমাত্র জেএমবির নাম শোনা গেলেও বর্তমানে এ ধরনের কতগুলো সংগঠনের গোপন কর্মকা- রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান প্রশাসনের কাছেও নেই। তবে জেএমবি ছাড়া যে কয়েকটি সংগঠন আলোচিত সেগুলো হচ্ছে হিযবুত তাহ্্রির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আনসার আল ইসলাম, হরকতউল জিহাদ এবং সর্বশেষ উত্থিত চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেড। জঙ্গীদের তৎপরতা মূলত শহরগুলোতে। কারণ, গ্রামে সকলেই সকলকে চেনে। হঠাৎ আগন্তুক কোন লোকজনের অবস্থান মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে। তারা নিজেরা প্রতিহত করার চেষ্টা কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে পারে এ আশঙ্কায় তারা অবস্থান ও প্রশিক্ষণের জন্য শহর ও পাহাড়ী দুর্গম অঞ্চলকে বেছে নিয়েছে। পুলিশ বিভাগ থেকে ইতোমধ্যেই সাধারণ অধিবাসীদের দেয়া হয়েছে সতর্কবার্তা। বিশেষ করে বাসা ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়াদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। জঙ্গীপনা বা সন্ত্রাসীদের দমন করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
×