ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আঙ্গুল চুষলে এলার্জি কমে!

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১২ জুলাই ২০১৬

আঙ্গুল চুষলে এলার্জি কমে!

সারা বিশ্বের লাখ লাখ অভিভাবক তাদের সন্তানদের আঙ্গুল চোষা কীভাবে থামাতে হয়, তা নিয়ে উভয়সঙ্কটে পড়েছেন। কিন্তু গবেষকরা দেখেছেন, এই অভ্যাসের দরুন অপ্রত্যাশিত স্বাস্থ্য সুবিধা মিলতে পারে এবং নখ কামড়ানোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, যেসব শিশু আঙুল চোষে অথবা নখ কামড়ায় প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় তাদের এ্যালার্জিতে ভোগার সম্ভাবনা এক-পঞ্চমাংশের বেশি কম। আর যদি তাদের দুটি বদ অভ্যাসই থাকে তাহলে এই ঝুঁকি এক-তৃতীয়াংশের বেশি কমে যায়। গবেষকরা মনে করেন, এসব শিশু তাদের নখের নিচে থাকা ব্যাক্টেরিয়া খেয়ে ফেলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। আর এতে তাদের এল্যার্জিতেও কম ভুগতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে অনুমান করা যায়, কেন ভিক্টোরিয়ান যুগের তুলনায় বর্তমানে এ্যালার্জিতে ভোগা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ ভিক্টোরিয়ান যুগে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল অনেক খারাপ। গবেষণায় নতুন এই তথ্য পেলেও গবেষকরা চান না অভিভাবকরা সক্রিয়ভাবে তাদের সন্তানদের আঙুল চোষা অথবা নখ কামড়ানোর ব্যাপারে উৎসাহ দিক। কারণ, সেক্ষেত্রে অন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তবে আঙুল চোষা ও নক কামড়ানোয় এ্যাজমা অথবা সাধারণ এ্যালার্জি হে ফিবারের (চোখ ও নাকে জল আসে এবং জ্বর হয়) ঝুঁকি হ্রাস পায়- এমন কোন প্রমাণ গবেষণায় পাওয়া যায়নি। তবে নিউজিল্যান্ডের ওটেগা ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, যেসব অভিভাবক সন্তানদের বদ অভ্যাস ছাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে হিমশিম খাচ্ছেন তাদের দুশ্চিন্তা লাঘবে এই গবেষণা সহায়ক হতে পারে। এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু তাদের আঙুল চোষে এবং অপর ৩০ শতাংশ তাদের নখ কামড়ায়। গবেষণা করতে গিয়ে অধ্যাপক বব হ্যানকক্স ১ হাজার ৩৭ নারী ও পুরুষকে ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে তাদের শিশুকাল থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের প্রত্যেকের ১৩ ও ৩২ বছর বয়সে এ্যালার্জি পরীক্ষা করা হয়। দেখা গেছে, গড়ে ৪৯ শতাংশের ১৩ ও অথবা ৩২ বছর বয়সে অন্তত একটি এ্যালার্জি ছিল। তবে যারা নখ কামড়াত অথবা আঙুল চুষতো তাদের এ্যালার্জিতে আক্রান্তের সম্ভাবনা ৩৮ শতাংশ কমেছে। আর যাদের দুটি অভ্যাসই ছিল তাদের এ্যালার্জিতে আক্রান্তের সম্ভাবনা ৩১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। - ডেইলি মেইল
×