ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী থেকে নিখোঁজ বাসার ও শরিফুলের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১২ জুলাই ২০১৬

রাজশাহী থেকে নিখোঁজ বাসার ও শরিফুলের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ঢাকার গুলশানে হামলাকারীদের কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ১০ যুবকের সন্ধান চেয়ে বিভিন্ন থানায় জিডি ও তাদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবকরা। ওই ১০ নিখোঁজ যুবকের একজন তানোরের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান ওরফে আবুল বাশারও রয়েছে। এছাড়া রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী খুন হওয়ার পর বাগমারা উপজেলার শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবকের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। শরিফুল রাবি ইংরেজী বিভাগেরই শিক্ষার্থী। নিখোঁজ বাসার ও শরিফুলের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে রাজশাহীর পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইএস সংশ্লিষ্টতার বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। পুলিশ ও পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, বাড়ি ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তার জানতে পারেন, মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান ওরফে আবুল বাশার নিখোঁজ আছে। বাসার তানোরের লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানম-ি শাখা থেকে লেখাপড়া করার পর বেসরকারী কোম্পানিতে চাকরি করছিল। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ঢাকা তেজগাঁওয়ে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে থাকত বাসার। গত ৬ থেকে ৭ মাস আগে তেজগাঁও শ্বশুর বাড়ি থেকে বাসার নিখোঁজ হন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাসারের পরিবারের একজন সদস্য জানান, গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার ঘটনার আগে নিহত ৫ জঙ্গী দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনার পর কোন পরিবারে কেউ নিখোঁজ থাকলে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়। এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে ৬ থেকে ৭ মাস ধরে নিখোঁজ মোহাম্মদ বাসারুজ্জামানের শ^শুর ঈদের আগে ঢাকা তেজগাঁও থানায় তার সন্ধান চেয়ে জিডি করেন। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়। তানোর উপজেলার লালপুর গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তি ও লালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ উদ্দীনের ছেলে বাসার দুই ভাই এক বোনের মধ্যে বড়। সোমবার সকালে বাসারের লালপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা সিরাজ উদ্দীনকে পাওয়া যায়নি। তিনিও ছেলের খোঁজে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
×