ইতালির রাজধানী রোমের প্রথম নারী মেয়র হলেন ভার্জিনিয়া রাজ্জি। তিনি প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছেন। রোমে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনে রাজ্জি যে জয় পেতে যাচ্ছেন, তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ৩৭ বছর বয়সী আইনজীবী ও স্থানীয় কাউন্সিলর রাজ্জি কয়েক মাস আগেও রাজনীতিতে খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না। খবর বিবিসি ও এএফপির।
দেশটির প্রতিষ্ঠানবিরোধী আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (এমফাইভএস) পার্টি থেকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন তিনি। জয়ের পর রাজ্জি বলেন, ‘আমি রোমানদের মেয়র হব। আমি ২০ বছরের দুর্বল শাসনের পর শহরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে আইন ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনব। এক নতুন যুগ শুরু হচ্ছে।’ এমফাইভএস প্রার্থী রাজ্জির এই জয়কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি ও তার মধ্য-বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডি) জন্য একটা বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। রোমে পিডির প্রার্থী রবার্তো জিয়াতিকে হারিয়েছেন তিনি। একই দিন দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুরিনে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনে জয় পেয়েছেন এমফাইভএসের নারী প্রার্থী চিয়ারা এ্যাপেনদিনো। তিনি সেখানকার পিডির বর্তমান মেয়রকে পরাজিত করেছেন। তবে মিলান ও বোলোগনায় জয় পেয়েছে পিডির প্রার্থী। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় ইতালির জাতীয় নির্বাচনে এমফাইভএস প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছে। দুই ধাপে অনুষ্ঠিত এ মেয়র নির্বাচন শুরু হয়েছিল পক্ষকাল আগে। প্রথম ধাপে রোমে রাজ্জি ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী রবার্তো জাকেত্তি পেয়েছিলেন ২৪ শতাংশ ভোট। রবিবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করেন রাজ্জি। ব্যয় নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগে ক্ষমতাসীন দলের ইগনাজিও মারিনো গত বছর অক্টোবরে রোমের মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তখন থেকেই শহরটি মেয়রশূন্য ছিল। এছাড়া রোমের সিটি হলের সঙ্গে মাফিয়াচক্রের যোগসাজশ আছে এমন অভিযোগও ফাইভ স্টারের বিজয়ে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। ইতালির রাজনীতিতে মহামারীর আকার ধারণ করা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়ে ২০০৯ সালে কৌতুকাভিনেতা বেপ্পে গ্রিল্লো ফাইভ স্টার আন্দোলনের সূচনা করেন। রাজ্জি এমন সময়ে নির্বাচিত হলেন যখন শহরটি ১৩ বিলিয়ন ডলার দেনায় ডুবে আছে, যার পরিমাণ শহরটির মোট বাজেটেরও দ্বিগুণ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: