ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণদের কর্মসংস্থানে এভিয়েশন ভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করা হবে ॥ মেনন

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ৫ জুন ২০১৬

তরুণদের কর্মসংস্থানে এভিয়েশন ভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করা হবে ॥ মেনন

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশী তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সরকার দেশে একটি এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। মন্ত্রী শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে পর্যটন বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ভ্রমণ’ ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) আয়োজিত ‘রোল এ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অব এভিয়েশন সেক্টর অন ভিজিট বাংলাদেশ-২০১৬’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খবর বাসসর। মন্ত্রী বলেন, যেখানে কর্মসংস্থান একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ সেখানে এভিয়েশন সেক্টর এখনও সেভাবে বিকশিত হয়নি। এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। সময়ের পরিবর্তিত প্রয়োজনে বিশ্বব্যাপী এভিয়েশন সেক্টর এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিনিয়তই এ সেক্টরে কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে এভিয়েশন সেক্টরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অধিকাংশ পর্যটক বিমানে চড়েই আসেন এবং বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা পেরিয়েই একটি দেশের মাটিতে পা রাখেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, কম্পট্রোলার জেনারেল অব বাংলাদেশ মাসুদ হোসেন, মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক সভাপতি নাসির এ চৌধুরী, বিটিবির সিইও আখতারউজ্জামান খান কবির, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সবুর খান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারী বিমান সংস্থা ‘নভোএয়ার’-এর এমডি মফিজুর রহমান। সেমিনারে বলা হয়, সরকার ঘোষিত পর্যটনবর্ষে সাফল্যের জন্য এভিয়েশন সেক্টরের ভূমিকা যেমন বিরাট তেমনি সরকারের কিছু উদ্যোগী ভূমিকা পাওয়া গেলে এখান থেকে খুব দ্রুত অনেক বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশে ১৫টি এয়ারপোর্ট আছে অথচ চালু আছে মাত্র ৭টি। রংপুর, ঠাকুরগাঁও, ঈশ্বরদী, শমসেরনগর, সন্দ্বীপ, কুমিল্লা, খুলনা ও সিরাজগঞ্জের এয়ারপোর্টের কথা অনেকের অজানা।
×