ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরের ৮ রাজাকারের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৫ মে ২০১৬

জামালপুরের ৮ রাজাকারের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামালপুরের ৮ রাজাকারের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে জেরা অব্যাহত রেখেছে আসামিপক্ষের আইনজীবী। তদন্ত কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। আজ বুধবার পর্যন্ত জেরার কাজ মুলতবি রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা চলে। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর হƒষিকেশ সাহা, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, প্রসিকিউটর জাহিদ হাসান, তাপস কান্তি বল ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতান চমন। আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতনসহ ৫টি অভিযোগে বিচার কাজ চলছে।এই মামলায় ৮ আসামির মধ্যে দু’জন এ্যাডভোকেট শামসুল আলম এবং এস এম ইউসুফ আলী কারাগারে। বাকি ৬ জন পলাতক। পলাতকরা হলো- আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মোঃ আব্দুল হান্নান, মো. আব্দুল বারী, মোঃ হারুন ও মোঃ আবুল কাসেম। তার আগে পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও তারা এতে সাড়া দেয়নি। ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল এই ৮ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ২২ জুলাই পলাতক জামালপুরের ৬ রাজাকারকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। গত ১৯ এপ্রিল এ ৮ আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৫টি ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এর আগে গত বছরের ২৪ মার্চ রাজধানীর ধানম-িতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ৯২ পৃষ্ঠার মূল তদন্ত প্রতিবেদনসহ ৫৯৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণ, দলিল ও ডকুমেন্টস রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ২০১৩ সালের ৬ জুন থেকে তদন্ত কাজ শুরু করে ২৪ মার্চ তা সম্পন্ন করেন। মামলায় ঘটনার ৩৪ ও জব্দ তালিকার ৬ জনসহ মোট ৪০ সাক্ষী রয়েছে।
×