ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের ছয় দাবি

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ২৪ মে ২০১৬

সরকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের ছয় দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সহকারী শিক্ষক পদ থেকে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি তুলেছেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি শাহিনুর আল আমীন। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছেন। কিন্তু শিক্ষকদের সম্মান ও আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়টি কখনও বিবেচনা করা হয়নি। বার বার শিক্ষকরা উপেক্ষিতই থেকেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হালিমুজ্জামান, একেএম খসরুজ্জামান, সেলিম হোসেন, মাহবুব হাসান রাজু, নুরুজ্জামান সেলিম, শাহিন হাওলাদার, বাধন খান পাঠান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ১৫ শতাংশ শিক্ষক তাদের কর্মজীবনে পদোন্নতি পান উল্লেখ করে সংগঠনের সভাপতি বলেন, একজন সহকারী শিক্ষক যে পদে নিয়োগ পান, সে পদ থেকেই অবসর নিতে হয়। কারণ এ পেশায় পদোন্নতির সুযোগ খুব কমই আসে। এ কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ পেশায় আসতে চায় না। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষকদের প্রমোশন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে আছে। এতে শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে। সরকারী শিক্ষকরা ক্রমাগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দাবি করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনের পার্থক্য ছিল এক ধাপ। ২০০৬ সালে এর পার্থক্য হলো দুই ধাপ। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বেতন কাঠামোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনের পার্থক্য তৈরি করা হয়েছে তিন ধাপ। অষ্টম পে স্কেলেও সহকারী শিক্ষকদের বেতন পার্থক্য একই। ‘১৯৭৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের পর যেখানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনের পার্থক্য ছিল ১০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে এই পার্থক্য হলো দুই হাজার ৩০০ টাকা। সংবাদ সম্মেলন থেকে নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনার জন্য দায়ী সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সংসদ সমস্য পদ বাতিলের দাবি জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে তোলা ছয় দফা দাবির মধ্যে আছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রধান শিক্ষকের নিচের ধাপে নির্ধারণ করা, সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করে সবার ক্ষেত্রে স্নাতক নির্ধারণ করতে হবে, সারাদেশে সহকারী শিক্ষক বদলি বন্ধ করা ও নীতিমালা সংশোধন করা, প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন অফিস সহকারী নিয়োগ করা। এমপিওভুক্তির দাবিতে নয় দিন ধরে অবস্থান ধর্মঘট ॥ এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা নবম দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন মাধ্যমিক পর্যায়ের আইসিটি শিক্ষকরা। সোমবারও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এমপিওবঞ্চিত আইসিটি শিক্ষকরা ধর্মঘটে অংশ নেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ এ আন্দোলন চলবে বলে জানান আইসিটি শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি আশিকুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক এসএম শামীমুর রহমান বলেন, বর্তমান পেক্ষাপটে ‘আইসিটি’ সেক্টরকে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিলেও ধুঁকে ধুঁকে চলছে আইসিটি শিক্ষা। কম্পিউটার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা না দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ করা সম্ভব নয়। অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেয়া আইসিটি শিক্ষকদের দাবি, চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে তাদের এমপিও দিতে হবে। এদিকে, বাংলাদেশ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন এবং ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা শিক্ষক পরিষদ এমপিওর দাবিতে আজ থেকে মানববন্ধন ও লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের এ কর্মসূচী সফল করার আহ্বান জানান পরিষদের সভাপতি সৈয়দা দিল আশরাফীসহ অন্যরা। কালকের কর্মসূচী স্থগিত ॥ বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৫ মে ঘোষিত কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে শিক্ষকদের এ সব দাবি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার প্রেক্ষিতে সমিতির নেতৃবৃন্দ এ স্থগিতের ঘোষণা দেন। খবর তথ্য বিবরণীর। মন্ত্রী বলেন, ৫ দফা দাবির মধ্যে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দু’টি বিষয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় নিষ্পত্তি করেছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেল নির্ধারণের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি যুক্তিসঙ্গত বাকি দাবিসমূহ পূরণের আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা রেজাউল করিম, সভাপতি মোঃ আব্দুল আউয়াল তালুকদার, নির্বাহী সভাপতি মোঃ ওয়েছ আহম্মদ চৌধুরী ও মহাসম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। সেলিম ওসমানের
×