ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

উবাচ

কঠিন পরিণতি স্টাফ রিপোর্টার ॥ পার্টি নিয়ে টানাপোড়েনে স্বামী-স্ত্রীর সংঘাত প্রচার মাধ্যমে চলে আসা দুঃখজনক। তারা নিজেরাই উন্মুক্ত জনসভায় দাঁড়িয়ে একে অপরকে হুমকি দিতেন। গণতন্ত্রের চর্চা শেখাতেন। এইত সেদিন এইচএম এরশাদ তার স্ত্রী রওশন এরশাদকে লক্ষ্য করে বললেন ‘কঠিন পরিণতি হবে’। আবার সেই তিনিই রংপুরে এক জনসভায় দাঁড়িয়ে রওশনকেই দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন। তাহলে এইটাই কি রওশনের কঠিন পরিণতি! দেবর জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করায় বেশ চটেছিলেন রওশন। কার্যত জাতীয় পার্টিতে আবার এর মধ্য দিয়ে প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয়। দলের একটি অংশে রওশনের অনুসারীরা তো এরশাদ মাইনাস জাতীয় পার্টি ঘোষণাই করে দিলেন। তার পর আবার সময় গড়াল, গড়িয়ে গেল জল। জাতীয় পার্টিতে জিএম কাদেরকে পেছনে ফেলে আবার এগিয়ে রওশন। শোনা যায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন রওশন এরশাদ। এর পরদিন জাতীয় পার্টির একজন প্রতিমন্ত্রী রংপুরে যান এরশাদের সঙ্গে দেখা করতে আর এরশাদ ওই প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন রওশনকে। এখন বলাই যেতে পারে, কঠিন পরিণতির নাম জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যন। নেতা আধিক্যে বিরক্ত! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে নেতা আধিক্যে ত্যক্তবিরক্ত দলের সভাপতিম-লীর সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের সম্মেলেন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ধানম-ির প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে এক বৈঠকে তিনি বলেন, উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েছে। পার্টি অফিসের সামনে যার সঙ্গে ধাক্কা লাগে সেই বলে আমি আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক। কিন্তু তারা যে উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এটা তারা বলে না। উপ-কমিটির এই নেতাদের অনেকে আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে বলেও জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সহ-সম্পাদকের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে অনেকে নিজ জেলায় অনেক হুমকি- ধমকিও মারে। তাই আগামী সম্মেলনে উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের সংখ্যা কমিয়ে ১০০ জনের মধ্যে আনা হবে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের সংখ্যা ৪৬৭ জন। প্রশ্নবিদ্ধই নয়, গুলিবিদ্ধও স্টাফ রিপোর্টার ॥ চার হাজার ৫৫৩ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৯৮৮টির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে গোলাগুলি আর মারামারিতে ৫১ জনের প্রাণ গেছে। অর্ধেক ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের আগেই হাফসেঞ্চুরির বিষয়টি নজরে এসেছে সাধারণ মানুষের। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ইউপি নির্বাচন শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, গুলিবিদ্ধও। চলমান নির্বাচনে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে এ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ইউপি নির্বাচনে এ পর্যন্ত প্রাণনাশের হাফসেঞ্চুরি হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় চার হাজার মানুষ। তাই এ নির্বাচন শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, গুলিবিদ্ধও। এছাড়া নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ওয়ান এ্যান্ড হাফ। ‘চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন : প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ও স্থানীয় শাসনব্যবস্থা’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভা যৌথভাবে আয়োজন করে গভর্ন্যান্স এ্যাডভোকেসি ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
×