ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর হোটেলে উদ্ধার ছাত্রছাত্রীর লাশ হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

রাজশাহীর হোটেলে উদ্ধার ছাত্রছাত্রীর লাশ হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরীর অভিজাত আবাসিক হোটেল ‘নাইস’ থেকে উদ্ধার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের পর লাশ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদত হোসেন খান বলেন, লাশ দুটি তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রাবি ছাত্র মিজানুর রহমান ‘কথিত’ প্রেমিকাকে পাবনা থেকে রাজশাহীতে ডেকে এনে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে হোটেলে ওঠে। এরপর তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পর হত্যা করে। এরপর মিজান আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কি কারণে হত্যাকা- এ বিষয়েও এখনও পুলিশ অন্ধকারে রয়েছে। মিজানুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও সময় লাগবে। তবে ছাত্রী সুমাইয়াকে শারীরিক সম্পর্কের পর হত্যা করা হয়েছে এটা অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শনিবার বেলা ১২টার দিকে লাশ দুটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডাঃ এনামুল হক বলেন, শিক্ষার্থী সুমাইয়া নাসরিনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথায় ও মুখে জখমের চিহ্ন রয়েছে। অপরদিকে মিজানুর রহমান শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছে। সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। প্রসঙ্গত, রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে শুক্রবার দুই শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রী সুমাইয়ার লাশ খাটের ওপর বালিশ চাপা দেয়া ছিল। আর ছাত্র মিজানুরের দুই হাত বাধা অবস্থায় ঝুলানো ছিল। সুমাইয়া নাসরিন বগুড়ার উপশহর এলাকার বাসিন্দা আবদুল করিমের মেয়ে। সে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। আর মিজানুর রহমান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাদের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
×