ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেনা মোতায়েনের দাবি আওয়ামী লীগ নেতার

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

সেনা মোতায়েনের দাবি আওয়ামী লীগ নেতার

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ পানছড়ি উপজেলার পানছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা, কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল মিয়া। তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন। সোমবার খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আফজাল মিয়া। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রার্থীর কর্মী অর্জুন ত্রিপুরা, নায়েব আলী, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাজির হোসেন একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করার পাশাপাশি নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডাঃ আবু তাহেরকে পানছড়ি বাজার থেকে তুলে নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করেছেন। প্রতিদিন ৫০-৬০ ক্যাডার নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে দেশী অস্ত্রশস্ত্র হাতে নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের হুমকি ও ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। মাইকিং করতে এবং পোস্টার লাগাতে বাধা দিচ্ছেন। যশোরে হুমকির অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীদের স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, ‘ভোট করলে ক্ষেতের বোরো ধান বাড়িতে যাবে না। তাই নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন যশোরের ঝিকরগাছার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী যুবদল নেতা জামির হোসেন। হুমকির মুখে রয়েছেন একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শাহজাহান আলী। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য অপহরণ করা হয়েছিল গদখালি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনির হোসেনকে।’ শুধু এ তিনজনই নয়, গোটা ঝিকরগাছা উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ও মনোনীত সব প্রার্থীই এমন হুমকি ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। বিএনপি নেতারা দাবি করেন, আগামী ৭ মে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন সন্ত্রাস চালানোয় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বার প্রার্থীরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে এখন আত্মগোপনে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑ যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম প্রমুখ। বিএনপির এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্যা খবির আহম্মেদ বলেন, তাদের কাছে এ ধরনের কোন তথ্য নেই। বিএনপির কোন নেতা তাদের কাছে এমন অভিযোগ করেননি। শালমারায় আ’লীগের যোগ্য প্রার্থী দাবি নিজস্ব সংবাদদতা, গাইবান্ধা থেকে জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে যোগ্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দেয়ার দাবিতে সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শালমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ও ইউনিয়নের সর্বস্তরের সচেতন জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শালমারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম। বলা হয়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নে সাহানা বেগমকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়ার তৎপরতা চলছে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের ভোটারসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। অথচ ইউনিয়নে ওই নারীর কোন বাড়িঘর নেই। নানার বাড়িতে বসবাস দেখিয়ে তিনি ভোটার হয়েছেন মাত্র। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মহলের সক্রিয় সহযোগিতায় সাহানা বেগমের স্বামীর কবলে পড়ে ইতোমধ্যে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। এছাড়া মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা-মোকদ্দমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই পথে বসেছে। শুধু তাই নয়, শোকে কাতর হয়ে এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
×