ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের মেসেজ আমলে নেয়নি আরসিবিসি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশের মেসেজ আমলে নেয়নি আরসিবিসি কর্তৃপক্ষ

রহিম শেখ ॥ তিনটি সতর্কতামূলক ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ মেসেজ বার্তা পাঠানোর পরও ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) তা আমলে নেয়নি। এর বিপরীতে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) কর্তৃপক্ষ ওই অর্থ চুরির জন্য উল্টো বাংলাদেশকেই দোষারোপ করেছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে এটি একটি প্রতারণাপূর্ণ লেনদেন। তাই অর্থ উত্তোলন বন্ধ করার জন্য আপনাদের (আরসিবিসি) অনুরোধ করা হলো। এ ধরনের অতি গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সতর্কতামূলক বার্তা পাঠানোর পরও আরসিবিসি ব্যাংক টাকা ছাড় করে। অথচ চুরির জন্য এখন উল্টো বাংলাদেশকেই দোষারোপ করেছে ফিলিপিন্সের ওই ব্যাংকটি। এ জন্য খুব শীঘ্রই ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সাত সদস্যে আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ গঠিত এ টাস্কফোর্সকে সব ধরনের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে রিজার্ভ চুরি নিয়ে চলমান ফরেনসিক তদন্তের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ কাজের জন্য নতুন করে ৭৩০ কর্ম ঘণ্টার সময় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর আগে ১২০ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং ম্যানিলায় দেশের রাষ্ট্র্রদূত জন গোমেজের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার ফিলিপিনো সিনেট কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাইবার ডাকাতির পরে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরসিবিসির কাছে তিনটি সতর্কতামূলক মেসেজ পাঠানো হয়, কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। এর বিপরীতে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) কর্তৃপক্ষ ওই অর্থ চুরির জন্য উল্টো বাংলাদেশকেই দোষারোপ করেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশের সুইফট সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে। আর যে তিনটি সতর্কতামূলক বার্তা (মেসেজ) বাংলাদেশের তরফে পাঠানো হয়েছে, তা ছিল নরমাল প্রায়োরিটির। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার পাচার হওয়া নিয়ে সিনেট শুনানিতে ওই অর্থপাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো তিনটি সতর্কতামূলক মেসেজ তুলে ধরে আরসিবিসিকে অভিযুক্ত করে ব্লু রিবন কমিটি। একটি মেসেজে বলা হয়, আপনাদের অবহিত করা হচ্ছে, এই লেনদেনটি সন্দেহজনক। ওই অর্থ উত্তোলন বন্ধ করার জন্য আপনাদের অনুরোধ করা হলো। ব্যাংক এ্যাকাউন্টটিতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকলে ওই এ্যাকাউন্ট জব্দ করে যথাযথ তদন্তের অনুরোধ করা হলো। আমরা মনে করি, ওই লেনদেনটি অর্থপাচার আইনের আওতায় অভিযুক্ত। ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সুইফট সিস্টেমের মাধ্যমে আরসিবিসির কাছে আরেকটি মেসেজ পাঠানো হয় ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, এটি অবৈধভাবে আমাদের সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে একটি প্রতারণাপূর্ণ লেনদেন। তাই অর্থ উত্তোলন বন্ধ করার জন্য আপনাদের অনুরোধ করা হলো। ব্যাংক এ্যাকাউন্টটিতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকলে এ্যাকাউন্টটি জব্দ করে ওই অর্থ এ্যাকাউন্ট নং ২১০৮৩১৯০-এ ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। মঙ্গলবার সিনেট শুনানিতে আরসিবিসির আইনী প্রধান সেলিয়া ফার্নান্দেজ এস্তাভিলো দাবি করেছেন, যে সুইফট সিস্টেম থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল, তাতে ‘নরমাল প্রায়োরিটি’ দেয়া ছিল এবং তা ‘অননুমোদিত ফরম্যাটে’ পাঠানো হয়। তাই তা ব্যাংক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট সিস্টেম ‘আপডেটেড নয়’ বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশের কাঁধে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন। তবে ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তেওফিস্তো গুইনগোনা আরসিবিসির পুরো প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আপনারা কি ওই মেসেজ পড়ে দেখেছিলেন যে, তাতে সতর্কতামূলক তথ্য ছিল কি-না। সেখানে লেখা ছিল, অতি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, এটা অনেকটাই পরিষ্কার। আমি ব্যাংকার নই। কিন্তু আমার কাছে পুরো বিষয়টাই পরিষ্কার। ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেটেলমেন্ট সার্ভিসেস ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার নেনিতা কাদাপান জানিয়েছেন, সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো মেসেজে কোডের কারণেই বোঝা যাবে যে, এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাঠানো মেসেজ। তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নামও উল্লিখিত থাকে। আর তা না বোঝার কথা নয়। সিনেট শুনানিতে আরসিবিসি কর্তৃপক্ষ সন্দেহজনক লেনদেন বন্ধ না করার জন্য ব্যাংকটির জুপিটার ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মাইয়া সান্তোস দিগুইতোকেও অভিযুক্ত করেন। কিন্তু এর বিপরীতে দিগুইতো জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লেনদেন বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে বার্তা প্রেরণের পর তিনি আরসিবিসির ট্রেজারার রাউল ভিক্টর তানকে এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ চান। তখন রাউল তাকে ফোনে বলেছিলেন, এটা আমাদের সমস্যা নয়। এটা বাংলাদেশের সমস্যা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উর্ধতন কর্মকর্তা মুঠোফোনে জনকণ্ঠকে বলেন, রিজার্ভ জালিয়াতির ঘটনার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আমরা তিনটি সতর্কতামূলক ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ মেসেজ বার্তা পাঠিয়েছিলাম রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) কর্তৃপক্ষ বরাবরে। ওই বার্তায় স্পষ্ট লেখা ছিল, এটি অবৈধভাবে আমাদের সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে একটি প্রতারণাপূর্ণ লেনদেন। তাই অর্থ উত্তোলন বন্ধ করার জন্য আপনাদের অনুরোধ করা হলো। ব্যাংক এ্যাকাউন্টটিতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকলে এ্যাকাউন্টটি জব্দ করে ওই অর্থ এ্যাকাউন্ট নং ২১০৮৩১৯০-এ ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। এর বিপরীতে আরসিবিসি কর্তৃপক্ষ ওই অর্থ চুরির জন্য উল্টো বাংলাদেশকেই দোষারোপ করেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট সিস্টেম ‘আপডেটেড নয়’। ফিলিপিন্সের ওই ব্যাংকের বক্তব্যের জবাবে খুব শীঘ্রই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হবে বলে তিনি জানান। টাকা উদ্ধারে টাস্কফোর্স গঠন ॥ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সাত সদস্য বিশিষ্ট আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ গঠিত এ টাস্কফোর্সকে সকল ধরনের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সাত সদস্যের এ আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোঃ ইউনুসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট’-এর মহাব্যবস্থাপককে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া এ কমিটির সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে টাস্কফোর্সের ছয় দফা কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- চুরিকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট অন্য দেশগুলোর আইনগত অবস্থা পর্যালোচনা; যেসব দেশে চুরিকৃত অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে সেসব দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং পারস্পরিক আইনগত সহায়তা গ্রহণ; বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা; চুরিকৃত/পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা এবং প্রয়োজনে এসব সংস্থার সহায়তা গ্রহণ; রিজার্ভ থেকে চুরিকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সময় সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত নির্দেশনা বা পরামর্শ পর্যলোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ। এ ছাড়া প্রয়োজনে সকল সদস্যের সম্মতিতে এক বা একাধিক সদস্য টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে কার্যপরিধিতে। ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সকে সকল ধরনের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে’ উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এ ছাড়া সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে চুরিকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার লক্ষ্যে উপযুক্ত কার্যপরিধির আওতায় টাস্কফোর্সের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। ফরেনসিক তদন্তের সময় বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক ॥ রিজার্ভ চুরি নিয়ে চলমান ফরেনসিক তদন্তের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ কাজের জন্য নতুন করে ৭৩০ কর্ম ঘণ্টার সময় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বোর্ড সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান। বিশ্বব্যাংকের সাবেক আইটি বিশেষজ্ঞ রাকেশ আস্তানা নেতৃত্বে এ তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। রিজার্ভ চুরির পর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি দুর্বলতা বের করতে এ কাজের জন্য ১২০ কর্মঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছিল। বোর্ড সভার বিষয়ে শুভঙ্কর সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি সিকিউরিটি নিñিদ্র করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল তার বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাইবার এ্যাটাকের বিষয়ে ফরেনসিক যে ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে তার অগ্রগতি কতটুকু তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এ কাজের বর্ধিত সময়ের আবশ্যকতার জন্য তার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সময় কতটুকু বাড়ানো হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন করে ৭৩০ ঘণ্টা সময় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এদিকে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রুশিদান ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা নিñিদ্র করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিñিদ্র করতে যা করা দরকার, তার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রিজার্ভ চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে দুর্বলতা ফুটে উঠেছে, তা নিরসনে যৌক্তিকভাবে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে। বোর্ডের আরেক সদস্য জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, রিজার্ভ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে আমাদের পজিশন খুব ভাল। মামলা দায়েরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি কমিটি করা হয়েছে, তদন্ত কমিটি, সেই কমিটি রিপোর্ট দেয়ার পরে এ ব্যাপারে ক্লিয়ারকাট সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বোর্ড সভায় আলোচনার বিষয়ে তিনি জানান, সাধারণ এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আপডেট করা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক গবর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে সভায় দুই ডেপুটি গবর্নরসহ অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
×