ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল ভাংচুর, অবরুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১২ মার্চ ২০১৬

অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে  হাসপাতাল ভাংচুর, অবরুদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘেরাও করে ডাক্তার ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত এলাকাবাসী। এ সময় হাসপাতালের আবাসিক ও জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে সেবা গ্রহীতারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অবস্থান করে পুলিশ। বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের আকুবদ-ী গ্রামের অমল নাথকে (৩৭) তার স্ত্রী বাপ্পী দেবনাথ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে এলে এ ঘটনা ঘটে। অমল নাথ এলাকার প্রয়াত ধীরেন্দ্র নাথের ছেলে। তিনি ‘প্রত্যাশী’ নামের একটি এনজিও সংস্থার কর্মচারী ও দুই সন্তানের জনক। বাপ্পী দেবনাথ জানান, দুপুর ১টার দিকে তার স্বামী বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরতরা ইনজেকশন দিয়ে একটি পরীক্ষা করতে বলেন। এরপর পরীক্ষা করিয়ে ওষুধ কেনার সময় তিনি মাটিতে বসে পড়েন। আবারও হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা গেছে বলে জানান। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ও অমলের স্বজনদের অভিযোগ-কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসকের অবহেলায় ও ভুল চিকিৎসার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার নারায়ণ চৌধুরী বলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক এলজিন ইনজেকশন টোকেনে লিখে দিয়ে পরীক্ষা করার কথা বলেন রোগীর স্বজনদের। এরপর আমি ইনজেকশনটি রোগীর শরীরে পুশ করি। হাসপাতালের সিডিউল অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরের জরুরী বিভাগের (ইএমও) দায়িত্বে ছিলেন ডাঃ সাবরিনা শারমিন। তিনি পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সটকে পড়েন। রেজিস্ট্রারে দুপুর ২টার দিকে রোগীর ভর্তি দেখানো হয়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সারাহ মুসাররাল বলেন, হাসপাতালের দোতলায় রোগী দেখছিলাম। এ সময় জরুরী বিভাগ থেকে মুঠো ফোনে আমাকে ডাকা হলে আমি নিচে নেমে রোগীকে দেখি। তখনই তিনি মৃত। হাসপাতালে মৃত নিয়ে আসা হয়েছিল জানান তিনি।
×